তুষখালী কলেজে হামলা, ভাংচুর ও নৈশ প্রহরীকে কুপিয়ে জখম প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় তুষখালী কলেজে শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে হামলা, ভাংচুর ও নৈশ প্রহরী কে কুপিয়ে জখম করার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে পাঁচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে। শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে মঠবাড়িয়া-পিরোজপুর সড়ক অবরোধ করে কলেজের সামনে তুষখালী কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেড় সহ¯্রাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করে। এতে ১২ রুটের দূরপাল্লার যাত্রীদের ৪ ঘন্টা দারুন দূর্ভোগ পোহাতে হয়। এসময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। দুপুরের দিকে মঠবাড়িয়া থানার ওসি এবং ভান্ডারিয়া থানার ওসি, কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে প্রশাসনের কর্মকর্তারা আসামীদের গ্রেপ্তারের আশ^াস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে মুখোশধারী একদল সন্ত্রাসী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মিরাজুল ইসলামকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে এবং কলেজের সাইনবোর্ড, সিসি ক্যামেরা, মটর সাইকেলসহ কলেজ সংলগ্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালায়। এছাড়াও ওই কলেজের মাঠে রাখা বাস, ট্রাক, মাহিন্দ্রা, ট্রলিসহ বিভিন্ন বেশ কয়েকটি ক্ষুদ্র যান ভাংচুর করে। এ সময় নৈশ প্রহরী খায়রুল (৩৫) বাঁধা দিলে তাকে এলোপাথারি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা খায়রুলকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম এ ঘটনার জন্য মঠবাড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ ও তাঁর ছোট ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমানের সমর্থকদের দায়ী করে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়।
মঠবাড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- দলের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী কতিপয় লোক পিরোজপুর থেকে পুলিশ সুপার কাপ খেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে শুক্রবার রাতে মুখোশ পড়ে বাসে ওঠে হামলা চালায়। এতে তার সমর্থক প্রায় ১৫জন আহত হয়। এর মধ্যে ১৩ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও ইমরান (১৭) ও রিফাত (১৮) নামের ২জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এসময় তারা যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাক, মাহিন্দ্রা ও মটরসাইকেল ভাংচুর করে আমার সমর্থকদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।
এদিকে, একই ঘটনায় বিকেলে পৃথক সমাবেশ ডেকে মাইকিং করা হচ্ছে। এতে উপজেলা জুড়ে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, সকল প্রকার সহিংসতা এড়াতে মঠবাড়িয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
Comments
আরও পড়ুন





