তিন ইউপিতে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী ১২জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট বর্জনের ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় কোনো সহিংসতা ছাড়াই সোমবার (২১ জুন) শান্তিপূর্ণ ভাবে ৬ ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও নৌকা সমর্থকদের কেন্দ্রে ঢুকে সাধারণ ভোটারদের তাদের সামনে জোর পূর্বক নৌকায় সীল মারা, প্রতিদ্বন্দ্বী সমর্থকদের মারধর হুমকী ধামকির অভিযোগ, কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে তিন ইউনিয়ন পরিষদের নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী ১২জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জণের ঘোষণা দেয়।
দুপুরে নির্বাচন চলাকালে উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী সাত প্রার্থী, আমড়াগাছিয়া ইউপির তিন প্রার্থী ও বেতমোরে দুইজন প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এ ১২জন প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে এ ভোট বর্জনের ঘোষাণা দেন। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
অভিযোগে বলা হয়, প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত মঠবাড়িয়ার তিন ইউনিয়ন পরিষদ সাপলেজা, আমড়াগাছিয়া ও বেতমোর ইউপির নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের সমর্থকরা ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করে। ওই তিন ইউপির ভোট কেন্দ্রে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এজেন্টদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। এরপর নৌকার সমর্থকরা সাধারণ ভোটারদের চাপের মুখে নৌকা প্রতীকে সীল দিতে বাধ্য করে।
ভোট বর্জনকৃত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, সাপলেজা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম (টেলিফোন প্রতীক), মো. শামীম (ঢোল প্রতীক), আবু কালাম মোল্লা (চশমা প্রতীক), মো. ইদ্রিস আলী মোল্লা (পাখা প্রতীক), মো. এনামুল কবীর (আনারস প্রতীক) মো. গোলাম রব্বানী (টেবিল ফ্যান), মো. আমীর খান (মোটরসাইকেল প্রতীক), আমড়াগাছিয়া ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী ইব্রাহিম খলিল ফরাজি (টেলিফোন প্রতীক), প্রভাষক কামাল (গোলাপ ফুল প্রতীক), মো. সুলতান মিয়া (আনারস প্রতীক) ও বেতমোর ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুদ্দিন ফেরদৌস রুম্মান (ঘোড়া প্রতীক), মো. শহীদুল ইসলাম (টেলিফোন প্রতীক)।
তবে ওই তিন ইউপি নির্বাচনের দায়িত্বরত রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন জানান, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দুই একটি কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র সেখানে টহল পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ আইন শৃংখলা বাহিনী ত্বরিত ব্যবস্থা নিয়েছেন। ওই তিন ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোট বর্জনের কোনো লিখিত অভিযোগ আমরা পাইনি।
Comments
আরও পড়ুন





