জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে পাকা দোকান ঘর উত্তোলনের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মিরুখালী বাজারের পেরিফেরিভুক্ত সরকারী খাস জমিতে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে পাকা দোকান ঘর উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাছ বাজার সংলগ্ন সোয়া তিন শতাংশ জমিতে নির্মিত ওই দোকান ঘরের ছাদ ঢালাইয়ের সময় কর্তৃপক্ষ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। দখলকৃত ওই জমির মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা। উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের জে,এল ২৬ নং নাপিতখালী মৌজার সরকারী খাস এস,এ ৭৩ নং খতিয়ানের ১১৮৪, ১১৮৬, ১১৮৭ নং দাগের সোয়া তিন শতাংশ জমিতে গত কয়েকদিন ধরে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে। বুধবার ওই জমিতে ছাদ ঢালাইয়ের সময় কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বৈধ কাগজপত্র দেখতে চায়। এসময় ওয়াহেদাবাদ গ্রামের আবদুল খালেকের পুত্র ইসমাইল জেলা প্রশাসকের ভুয়া স্বাক্ষর সম্বলিত আবেদন পত্র দেখায়।
স্থানীয়রা জানায়, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জনৈক অসাধু কর্মচারীর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে সরকারী জমি নামে বেনামে ডিসিআরের নামে বাণিজ্য চলছে। আরও জানা যায়, স্থানীয় নুর ইসলাম নামের জনৈক ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জালিয়াতির সাথে জড়িত রয়েছে।
এ ব্যাপারে দোকান ঘরের মালিক ইসমাইল ও তার পিতা আবদুল খালেকের সাথে বারবার যোগাযোগ করে পাওয়া না গেলেও এক সময়ের ওই জমি ক্রয়সূত্রে মালিকানা দাবীদার ওয়াহেদাবাদ গ্রামের নুর উদ্দিন মুন্সীর পুত্র মো: শাহ আলম জানান, বিগত ২০১৮ সালে ওই জমি ইসমাইলের কাছে বিক্রি করে দেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিপন বিশ্বাস জানান, ওই জমি মিরুখালি বাজারের পেরিফেরিভুক্ত এবং সরকারী খাস খতিয়ান ভূক্ত। এমন জমিতে জেলা প্রশাসকের অনুমতি সাপেক্ষে শুধু আধাপাকা স্থাপনা নির্মান করা যায়। তিনি আরো বলেন জেলা প্রশাসক মহোদয় ওই জমিতে যদি পাকা ঘর উত্তোলনের অনুমতি দিতেন তাহলে তিনি আমাকে লিখিতভাবে বিধি মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করতেন। তিনি বলেন, শীঘ্রই এ ব্যাপারে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক আবু আলী মো: সাজ্জাদ হোসেন জানান, আবেদন পত্রের আমার ওই স্বাক্ষর জাল নিশ্চিত করে বলেন এ বিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
Comments
আরও পড়ুন





