জমি সংক্রান্ত বিরোধে পৃথক দু’ঘটনায় ৪জন জখম
স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ধানীসাফা ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে সম্প্রতি পৃথক দুই ঘটনায় ৪জন গুরুতর জখম হয়েছে। আহতদের ৩জন বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ও একজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
থানা ও আহত সূত্রে জানা যায়- ওই ইউনিয়নের পূর্ব ফুলঝুড়ি গ্রামে গত শুক্রবার (১ মে) দুপুরে বাগান বাড়ির বিরোধীয় জমিতে প্রতিপক্ষ ওই গ্রামের মৃত ফজলুল হকের পুত্র ইছা হাওলাদার ও তার ভাড়া করা ৬/৭ জনের একটি দল বিরোধীয় জমির বাগানে জোর পূর্বক ঢুকে আম, কাঠাল ও কলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ গাছ কাটা শুরু করে। এ সময় ওই জমি ভোগদখলে থাকা একই বাড়ির আঃ রব হাওলাদারের পুত্র কবিরসহ পরিবারের লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে ইছা ও তার লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি কোপালে রাজ মিস্ত্রী কবির হাওলাদার (৪৫) গুরুতর জখম হয়। এসময় কবিরকে বাঁচাতে এলে তার স্ত্রী রুনু বেগম (৩৮) ও মেয়ে মারুফা বেগম (২২) আহত হয়। গুরুতর আহত কবিরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলেও বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। এ ঘটনায় আহতের ছোট ভাই আল আমিন ওই দিন বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ৪জন ও অজ্ঞাতনামা ৩জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ প্রধান আসামী ইছাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। এ মামলার বাদী মাদ্রাসা ছাত্র আল আমিন বলেন-প্রতিপক্ষরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাসহ খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে।
অপরদিকে, ওই ইউনিয়নের ধানীসাফা গ্রামের বৃদ্ধ হাজী হামিদ হাওলাদারের সাথে একই বাড়ির রুস্তুম হাওলাদারের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ২২ এপ্রিল রাতে প্রতিপক্ষ রুস্তম হাওলাদার ও তার পুত্র রুহুল হাওলাদারের নেতৃত্বে ১০/১১ জনের একটি দল পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ধারালো অস্ত্র, লোহার রড নিয়ে জোর পূর্বক হামিদের ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় পূর্ব বিরোধের জের মিটাতে রুস্তুমের নির্দেশে এলোপাতারি আঘাত করলে বৃদ্ধ হামিদ হাওলাদার (৮০) তার পুত্র হাসান (২১) ও ভাতিজা শামিম (১৭) গুরুতর আহত হয়। আহতদের গভীর রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর থেকে আহতরা বরিশালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় বৃদ্ধ হামিদের ছোট ভাই ও আহত শামিমের বাবা সোহরাব হোসেন প্রতিপক্ষ রুহুল পিতা রুস্তুমসহ ১০জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলার বাদী সোহরাব হোসেন অভিযোগ করেন- আমরা যখন আহতদের চিকিৎসা নিয়ে বরিশালে ব্যস্ত তখন প্রতিপক্ষ রুস্তম তাদের পক্ষের লোকজন আহত দেখিয়ে থানায় আমাদের বিরুদ্ধে আগেই একটা মামলা দায়ের করে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ্দুজ্জামান মিলু বলেন, মামলা পাল্টা মামলা হলেও তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Comments
আরও পড়ুন





