চাঁদা দাবীর অভিযোগে কাজীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাবেক বিচারককে হুমকি দিয়ে কারাভোগকারী মাহমুদ কাজীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কাছে চাঁদা দাবীর অভিযোগ উঠেছে। ওই কাজীর চাঁদাদাবী, জবরদখলসহ ও বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিকার চেয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ উপজেলা কমান্ড কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলার বেতমোর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার হারুন অর রশিদের ভাই ফিরোজ খন্দকার অভিযোগে বলেন, শহরের নিকাহ রেজিষ্ট্রারের দায়িত্বে থাকা একই বাড়ীর মাহমুদ খন্দকার (কাজী) দুর্দান্ত ও চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক। সে নিজেকে স্থানীয় সাংসদের লোক পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষ ও সরকারি কর্মকর্তাদের অন্যায় ভাবে হয়রানী করে আসছে। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তার জমিতে বসত ঘর উত্তোলন করে। তিনি আরও বলেন, তার জরাজীর্ণ ঘর ভেঙ্গে নতুন ঘর তুলতে গেলে মাহমুদ কাজী তার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। এমনকি তার ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার হারুন অর রশিদ ঘর উত্তোলন করার সময়ও চাঁদা দাবী করেছিলো। যা মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তক্ষেপে চাঁদা আদায়ে ব্যর্থ হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের বিরুদ্ধে গাছ কাঁটার অভিযোগ এনে একটি মিথ্যা মামলা করে। এছাড়াও ভাইয়ের ছেলেকে (পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত) ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেয়। সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে এলাকায় নিরীহ মানুষকে হয়রানীসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ আনেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ওই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ওয়াদুদ রহমান পিরু সিকদার, মাহমুদ কাজীর হয়রানীর শিকার হওয়া আহম্মেদ ফরাজী, জলীল জমাদ্দার, কবির হোসেন হাওলাদার প্রমূখ।
এব্যপারে অভিযুক্ত মাহমুদ খন্দকার (কাজী) অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো ফিরোজ খন্দকারই সীমানা অতিক্রম করে আমার জমির মধ্যে ঢুকে পরেছে। এ ঘটনায় নির্বাহী আদালতে মামলাও চলমান আছে।
Comments
আরও পড়ুন





