ঘেরের মাছ লুট ও বিষ প্রয়োগ ॥ আদালতে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার শাখারীকাঠী গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিবেশীর মাছের ঘেরের মাছ লুট ও বিষ প্রয়োগের ঘটনার তিন দিন পর বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষী আব্দুল ওহাব হাওলাদার বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ চাচাত ভাই ইলিয়াস হাওলাদার ও তার পুত্র ও ভাইপোসহ তিজনকে আসামী করে এ মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমানকে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত লাল মিয়া হাওলাদারের পুত্র মুদি ব্যবসায়ী আবদুল ওহাব হাওলাদার (৬৫) গত ৬ ডিসেম্বর দিনগত রাত ১০টার সময় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে নিকটবর্তী বসত ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর গভীর রাতে বাড়ির সামনে মাছের ঘেরে লোকজনের টের পেয়ে তার পুত্র ও ভাইপোসহ অন্যান্য স্বাাক্ষীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাইটের আলোতে চাচাতো ভাই মৃত ফজলুল হক হাওলাদারের পুত্র ইলিয়াস হাওলাদার (৫৫) ও তার পুত্র রাসেল (৩২), ভাইপো নাসির হাওলাদার (৪৫) জাল ফেলে ৮৫ হাজার টাকার ১০ মন মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ঘেরের পানিতে বিষ জাতীয় পদার্থ নিক্ষেপ করলে ৭৮ হাজার টাকার মাছ মরে ক্ষতি সাধন হয়। এর প্রতিবাদ করলে আসামীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
ক্ষতিগ্রস্থ আবদুল ওহাব জানান, গত ৫ মাস আগে কৃষিব্যাংক মঠবাড়িয়া শাখা হতে ১ লাখ টাকার মৎস্য ঋণ ও নিজের কাছে গচ্ছিত দেড় লাখ টাকা খরচ করে নিজের ৫০ শতাংশ জমিতে মাছের ঘের করছিলেন। প্রতিপক্ষরা বিষ প্রয়োগ করায় আমি এখন পথে বসেছি। এর আগেও গত বছর ওই প্রতিপক্ষরা আমার মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
প্রতিপক্ষ ইলিয়াসের সাথে যোগাযোগ করলে তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওহাব ও তার দুই ছেলে আমার পুত্র রাজ্জাককে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী এ মামলাটি ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে এ ঘটনা নিজেরা সাজিয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: হাফিজুর রহমান জানান, বিষ প্রয়োগে মাছ মারার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
Comments
আরও পড়ুন





