ঘূর্ণিঝড় আম্পান হতে উপকুলবাসীকে রক্ষায় আশ্রয় কেন্দ্রসহ ৩শ ৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত

স্টাফ রিপোর্টার: ঘূর্ণিঝড় আম্পান হতে জনগণকে রক্ষায় উপকূলীয় মঠবাড়িয়ার বলেশ্বর নদ তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের ৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্র, ২শ৫টি সরকারী প্রাথমিক ও ৪৫ টি স্কুল, মাদাসা ও কলেজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে সন্ধ্যার আগেই আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে প্রশাসন তৎপরতা শুরু করেছে।
এর আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে এই দুর্যোগের সম্ভাব্য আঘাত হানার বিষয়ে মেগাফোনে জনগণকে আগাম সতর্ক বার্তা দেয়া হচ্ছে। উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে নদ তীরবর্তী তুষখালী, বড়মাছুয়া, আমড়াগাছিয়া, সাপলেজা, বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়নে সতর্ক সংকেত হিসেবে লাল পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এসব এলাকায় সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে এরই মধ্যে প্রশাসন কাজ শুরু করেছেন।
মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঊর্মি ভৌমিক এর সভাপতিত্বে ফায়ার সার্ভিস প্রতিনিধি, ঘুর্ণিঝড় প্রস্ততি কর্মসূচির (CPP) ইউনিট টিম লিডার ও ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যগণদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাধ এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তারা সংশ্লিষ্ট গ্রাম গুলোর মানুষজনদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে তৎপরতা চালান। সন্ধ্যার আগেই বাধ সংলগ্ন বসতির মানুষকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিশ্চিত করতে প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকরা তৎপর রয়েছেন।
জানাগেছে, উপজেলার ৫৯টি সরকারি সাইকোন সেন্টার এবং বেসরকারি পর্যায়ের ৪৫টি আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা ভবন ও ২শ ৫টি প্রাথমিক স্কুল দুর্যোগ কবলিত জনগণের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ৮৫ ইউনিটে সিপিপির মোট ১২শ’ ৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন।
মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মী ভৌমিক বলেন- ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন- মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বলেশ^রের মাঝের চরের ১শ ৪৫ পরিবারের বৃদ্ধ ও শিশুদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়াও আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিতাদের জন্য শুকনা খাবার সুপেয় পানি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
Comments
আরও পড়ুন





