গ্রাম হবে শহর সেদিন আর বেশি দুরে নয়….. ডা. ফরাজী

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারী হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. রুস্তম আলী ফরাজী এমপি বলেছেন, গ্রাম হবে শহর সেদিন আর বেশি দুরে নয়। সকল গ্রামকে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিদ্যুৎ, রাস্তা, মসজিদ, মন্দির, কমিউনিটি কিনিক, বিনোদন পার্ক গড়ে তোলা হবে। সকল সুযোগ সুবিধা নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ের শিক্ষকদের প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করতে হবে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শতভাগ ভর্তি, উপস্থিতি নিশ্চিত করণ, ঝড়ে পড়া রোধ, স্কুল ফিডিং কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নে সকল শিক্ষকদের নির্দেশ দেন। তিনি নিজের ছেলেকে উন্নত মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর মানষিকতা পরিহার করে নিজ প্রতিষ্ঠানকে দক্ষ ও মান সম্মত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। ডা. ফরাজী বলেন, ইতিমধ্যেই সরকার মান সম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধান শিক্ষকদের ২য় শ্রেণীর মর্যাদা, শতভাগ উপবৃত্তিসহ অবকাঠামো উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তির কাশ চালুসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। তাই শিক্ষকদের শহরে আসার প্রবণতা পরিহার করে আন্তরিকতার সাথে গ্রাম পর্যায়ের বিদ্যালয়ে পাঠদানে মনোনিবেশের আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধান অতিথি ১৭ মার্চ জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুর জীবনের উপর বিশদ আলোচনা করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট স্বাধীনতার স্থপতি ও তাঁর পরিবারবর্গকে নির্মম ভাবে হত্যারও তীব্র নিন্দা জানান। প্রাথমিক শিক্ষা স্তরের শতভাগ ভর্তি কার্যক্রম অব্যহত রাখা, উপস্থিতি নিশ্চিত করণ, মান সম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে রোববার (১৭ মার্চ) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষা ও আমাদের করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির ভাষনে ডা. রুস্তম আলী ফরাজী এমপি এ কথা বলেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কিরন চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি.এম সরফরাজ, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সেটেক্টর কৃষ্ণ গোপাল প্রামানিক, শিক্ষক সুমন হালদার প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে গ্রামের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সেই উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে হলে প্রাথমিক শিক্ষারও প্রসার ঘটাতে হবে। কর্মশালায় বিদ্যালয়ে শতভাগ ভর্তি, উপস্থিতি নিশ্চিত করণ, ঝড়ে পড়া রোধ ও মান সম্মত শিক্ষার করণীয় বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। কর্মশালায় ২শ ৫টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ তিন শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
Comments
আরও পড়ুন





