কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় অনার্স পড়–য়া এক কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষিতা ওই ছাত্রী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে বাদী হয়ে পুলিশ কনষ্টেবল ও উপজেলার বয়াতীর হাট (শিংগা) গ্রামের খালেক ঘরামীর পুত্র সাহেব আলী ঘরামী (২৫) কে প্রধান ও ধর্ষনের সহায়তা করার অপরাধে তার বড় বোন বিলাসী বেগমকে (৩২) আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়। পুলিশ এ মামলার আসামী বিলাসী বেগমকে গ্রেফতার করে বুধবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে।
থানা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়- উপজেলার বেতমোরের জানখালীর বাসিন্দা ও পিরোজপুর সরকারী মহিলা কলেজের অনার্স পড়–য়া ওই ছাত্রীর সাথে গত এক বছর আগে পৌর শহরের গয়ালী পাড়ায় তার ভগ্নিপতি খায়রুল আজাদের বাসায় বসে পরিচয় হয় সাহেব আলীর। ঢাকা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অন্তর্গত রুহিতপুর পুলিশ ক্যাম্পের কনষ্টেবল সাহেব আলী (যার কনঃ নং ২৩৩০) পরিচয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে কথোপকথন চলে। গত ৮ জানুয়ারী’১৯ সাহেব আলী ছুটিতে বাড়ীতে এসে ওই কলেজ ছাত্রীকে ফুসলিয়ে পৌর শহরের ৯ নং ওয়ার্ডে বড় বোনের বাসায় নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। একই ভাবে ঘটনার দুদিন পর আবারও ওই পুলিশ সদস্য তার বোনের বাসায় নিয়ে বিয়ের আশ্বাসে ২য় দফায় শারিরীক সম্পর্ক করে।
এরপর ওই ছাত্রী গত কয়েকদিন ধরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে ওই পুলিশ সদস্য বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং মোবাইল করলে অশালীন ভাষায় তাকে গালিগালাজ করে। পরে ২২ এপ্রিল সোমবার ওই ছাত্রী পুলিশ সদস্যের বয়াতীর হাট গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের জন্য পরিবারের সদস্যদের চাপ দিলে পুলিশ খবর পেয়ে ওই কনষ্টেবলের বাড়ী হতে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। ওই কনষ্টেবলের অভিভাবকরা বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে মঙ্গলবার ওই ছাত্রী চেতনা নাশক ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে অসুস্থ্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ মঙ্গলবার রাতে মামলাটি গ্রহণ করে। এদিকে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ছাত্রীর ওই ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার এসআই মো: জাকির হোসেন জানান, এ ঘটনার পর থেকে পুলিশ সদস্য সাহেব আলী এলাকায় না থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আব্দুল্লাহ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- এ মামলার আসামী ধর্ষকের বড় বোন বিলাশী বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধর্ষিতা কলেজ ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হবে।
Comments
আরও পড়ুন





