একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়ে নিহত আঃ হকের পরিবার দিশেহারা

স্টাফ রিপোর্টার ঃ মঠবাড়িয়া উপজেলার দক্ষিণ বড়মাছুয়ায় প্রতিপক্ষের হাতে নির্মমভাবে খুন হয় হত দরিদ্র কৃষক চার সন্তানের জনক আব্দুল হক শিকদার (৪৫)। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী দিনমজুর গৃহকর্তার খুন হবার পর আয়ের অন্য কোন উৎস না থাকায় ৫ সদস্য পরিবারে নেমে এসেছে অভাব অনটন।
খুন হবার গত কয়েক দিনের মধ্যে পরিবারের সদস্যরা অনাহারে অর্ধাহরে দিন কাটাতে হয়েছে। স্ত্রী মমতাজ বেগম (৪২),বড় মেয়ে শহরের মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহিলা কলেজের ডিগ্রী কলেজের বিএর ছাত্রী আকলিমা সীমা (২১), গার্মেন্টস কর্মী পুত্র রাকিবুল (১৯), এসএসসি পাশ করা মেয়ে তায়েবা (১৭) ও ছোট মেয়ে বড়মাছুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী সাদিয়া (১২) নিয়ে আঃ হকের পরিবার। ৩৩ শতক জমির ওপর নিহতের বসত বাড়ি। ভোগদখলীয় বিরোধীয় জমির ফসল ও দিন মজুরীর টাকা দিয়ে টানা পোড়নের মধ্যে চলত সংসার। একমাত্র ছেলে রাকিবুল গার্মেন্টস কাজ করলেও লাগাতার লকডাউনে চাকরি হারায়। পিতার মৃত্যুর পর সে বাড়িতে বেকার। বড় মেয়ের তিন বছর আগে বিয়ে হলেও অপর দুই মেয়ে পড়াশুনা করছে। ইতিমধ্যে মেজ মেয়ে এসএসসি পাশ করলেও অর্থাভাবে আর কলেজে ভর্তি হতে পারেনি। এরমধ্যে স্ত্রী মমতাজ বেগম জটিল রোগের রোগী হওয়ায় প্রতি মাসে গুণতে হয় অনেক টাকার ঔষধ।
স্ত্রী মমতাজ বেগম বলেন, তার স্বামী একসময় রিক্সা চালাত। কিছুদিন বড়মাছুয়া বাজারের নৈশ প্রহরী ছিল। এরপর দীর্ঘদিন দিনমজুরী করে সংসার চালাত। তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন, বুজেনইতো পরিবারে কাজের লোক না থাকলে সংসার কেমনে চলে। এরমধ্যে আমি অসুস্থ্য। আমার দুটি মেয়ে বিবাহযোগ্য। সংসারের চিন্তায় আমার ঘুম নাই।
ইউপি চেয়ারম্যান নাছির হোসেন হাওলাদার বলেন, ইতিমধ্যেই আমি ওই হতদরিদ্র পরিবারে খাবারের জন্য এক বস্তা চাল পাঠিয়ে দিয়েছি। লকডাউন শেষে অফিসের স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নিহতের স্ত্রীকে বিধবা ভাতার কার্ড দেয়া হবে। ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমার পক্ষ থেকে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
Comments
আরও পড়ুন





