স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার সাপলেজা ইউনিয়ন বাজারের ইজারাদারের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও টাকা লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার বিচার ও আইনগত সহায়তা চেয়ে ভুক্তভোগী ইজারাদার ও উপজেলার ৯ নং সাপলেজা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর মোল্লা শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে শহরের ব্যাংক পাড়াস্থ উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মজিবর মোল্লা বলেন, চলতি ১৪২৯ বঙ্গাব্দে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ২১ লাখ ২৯ হাজার ৩শ একাশি টাকায় আমি সাপলেজা বাজার ইজারা নেই। বাজার ইজারা পেয়ে যথা নিয়মে গত ১লা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার আদায়কারী নিয়োগ করে ওইদিন সকালে বাজারে খাজনা আদায় করতে যাই। কিন্তু স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্দনে ভাইজোড়া গ্রামের সাবেক ইজারাদার রুহুল আমীন ও তার পুত্র সবুজ সহ ১০/১২ জনের একটি দল ইজারা তুলতে বাধা প্রদান করে। এক পর্যায়ে তারা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ইজারাদার মজিবর মোল্লা, আদায়কারী ফারুক হোসেন ও সোলায়মানসহ তিনজনকে এলোপাতারি পিটিয়ে আহত করে ব্যাগ ভর্তি টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় তারা পুনরায় বাজারের খাজনা আদায় করতে গেলে খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। প্রতিপক্ষের প্রকাশ্যে হুমকিতে ইজারাদার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবী করেন।
মজিবর মোল্লা আরও বলেন, তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে অবহিত করেছেন। কিন্তু নববর্ষে পুলিশের উপস্থিতিতে ইজারাদারের ওপর হামলা হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন আফজাল, উপজেলা আ’লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফজলুল হক মনি, পৌর আ’লীগের সহ-সভাপতি পংকজ সাওজাল, সাপলেজা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ, সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির, আহত আদায়কারী সোলায়মান, ফারুক হোসেন প্রমুখ।
প্রতিপক্ষ সাবেক ইজারাদার রুহুল আমীন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি ভৌমিক ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া না গেলেও মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহা. নুরুল ইসলাম বাদল পুলিশের উপস্থিতিতে ইজাদারের ওপর হামলার .খবর সঠিক নয় দাবী করে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে খাজনা আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ইজারাদারের মারধরের ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায়নি।

Comments

comments