ইউপি মেম্বর লতিফ হত্যার তিন দিন পর ২০ জনকে আসামী করে মামলা ॥ গ্রেফতার-১

স্টাফ রিপোর্টার : মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বর মোঃ আব্দুল লতিফ হাওলাদার (৫২) কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তিন দিন পর ২০জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে। নিহতের পুত্র মাদ্রাসার ছাত্র মোঃ মাহাবুব হাওলাদার সুজন বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে মঠবাড়িয়া থানায় এ হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় আপন চাচাতো বোন জামাই সবুজ (৩২), চাচাতো ভাই আল-আমিন (২৪) ও ভাগ্নে সজল (২২) সহ ১৫ জন এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত আরও ৫ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সদর ইউনিয়নের বকশীর ঘটিচোরা গ্রামের মৃত মজিদ হাওলাদারের পুত্র সাবেক ইউপি সদস্য লতীফ হাওলাদারের সাথে বড় ভাই করিম হাওলাদারের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। দুই ভাইয়ের পারিবারিক এ বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। এর মধ্যে নিহতের অন্য ভাই রাজ্জাক হাওলাদারের সাথে প্রতিবেশী শাহ্ আলমের জমি সংক্রান্ত মামলারও রেশ এসে পরে। ঘটনার দিন রোববার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ছয়টায় ওই মামলায় আদালতে লতীফ ও ভাইপো ইদ্রিসসহ অন্যরা হাজিরা দিতে পিরোজপুর আদালতে যাবার পথে পূর্ব শত্রুতার জের মিটাতে আন্ধার মানিক তুলাতলা নামক স্থানে ওৎঁ পেতে থাকা সবুজ, আল-আমিন, সজলসহ তাদের ভাড়াটিয়া ১৮/২০ জনের একটি দল লতিফের গতিরোধ করে। এরপর সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি কোপালে ৪ সন্তানের জনক লতিফ গুরুতর জখম হয়। এ সময় আহত লতিফকে বাঁচাতে এলে ভাইপো ইদ্রিসকেও ধারালো অস্ত্রের কোপে জখম করা হয়। আহতরা অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকলে সন্ত্রাসীরা মৃত ভেবে উল্লাশ করতে করতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সকালে স্থানীয় চৌকিদারসহ এলাকাবাসী গুরুতর জখম লতীফ ও ইদ্রিসকে উদ্ধার করে ওইদিন সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর তাদের অবস্থার অবনতি ঘটলে দ্রুত তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর আহত ভাইপো ইদ্রিস গত তিন দিন ধরে বরিশাল হাসাপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম ছরোয়ার জানান, এ হত্যা মামলায় এজাহার নামীয় বেল্লাল খাঁ (২৪) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Comments
আরও পড়ুন





