ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নামজারির নামে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি: শরণখোলা: শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নামজারির নামে (ভূমি রেকর্ড) এলাকাবাসির কাছ থেকে ঘুষ আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অফিসের ঝাড়–দার দুলাল আকনকে দিয়ে ঘুষ আদায় করে থাকেন। এব্যপারে ভুক্তোভোগীদের পক্ষ থেকে সোনাতলা গ্রামের মোঃ গোলাম মোস্তফা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে গোলাম মোস্তফা জানান, সাবেক সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল আজিজের কথা বলে ঝাড়–দার দুলাল আকন একটি নামজারির জন্য ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন। পরে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে সমঝোতা করেন। কিন্তু এরপরও কাজ না করে কিছুদিন পরে তিনি অন্যত্র বদলি হয়ে গেলে নতুন যোগদানকৃত সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন মিনা দুই হাজার টাকা খরচ নেন। কিছুদিন পরে দুলাল আকন জানায় নতুন ভূমি কর্মকর্তাকে ১৫ হাজার টাকা না দিলে নামজারির কাজ করবেন না। তাই দিনের পর দিন ঘুরেও নামজারি করাতে না পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দাখিল করেন।
এছাড়া নামজারির কথা বলে ওই দুই কর্মকর্তা দুলাল আকন দিয়ে একই গ্রামের রেজাউল হক আকনের কাছ থেকে ১৮ হাজার টাকা এবং তাফালবাড়ি গ্রামের মোঃ ইয়াকুব হাওলাদারকে খাস জমি বন্দোবস্ত করে দেয়ার কথা বলে ১২ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করে বলে তারা জানান।
এব্যপারে জানতে চাইলে দুলাল আকন ঘুষ নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, অভিযোগকারী গোলাম মোস্তফা আমার চাচাতো ভাই। তার সাথে আমার পারিবারিক বিরোধ থাকায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।
সোনাতলার সাবেক সহকারি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ ও বর্তমান সহকারি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন মিনা বলেন, দুলাল আকন যেহেতু স্থানীয় তার সাথে এলাকার মানুষের কি লেনদেন হয় তা আমারা জানিনা। এছাড়া দুলালের সাথে অভিযোগকারী মোঃ গোলাম মোস্তফার পারিবারিক দ্বন্দ্ব রয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি দায়িত্বে নিয়োজিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, ঘুষ দেয়া এবং নেয়া দুইটাই অপরাধ। আমি এই উপজেলায় যোগদান করে নামজারিতে সরকারি ফি ছাড়া কোন প্রকার টাকা না দেয়ার জন্য মাইকিং করিয়েছি। এরপরও কেউ টাকা দিলে সেটা দুঃজনক ব্যপার।
Comments
আরও পড়ুন





