৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, গ্রেফতার-১
স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ষষ্ঠ শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষিতা মাদ্রাসা ছাত্রীর পিতা অটোচালক বাদী হয়ে বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন। এতে ধর্ষক নাঈম শরীফ (২১) তার বড় ভাই মো. মহারাজ শরীফ (২৮) ও মা তহমিনা বেগম (৫০) কে আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় ধর্ষকের বড় ভাই অভিযুক্ত মহারাজ শরীফকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতে সোপর্দ হয়েছে। এ মামলার আসামীরা উপজেলার তেতুঁলবাড়িয়া (ভাঙ্গাপোল) এলাকার হানিফ শরিফের ছেলে ও স্ত্রী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, ধর্ষিতা মাদ্রাসা ছাত্রী ও ধর্ষক মো. নাঈম শরীফ সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই-বোন। ধর্ষণের শিকার ওই মাদ্রাসা ছাত্রী উপজেলার গুদিঘাটা দখিল মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। ধর্ষক খালাতো ভাই এর আগে বিভিন্ন সময় ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা তার ভায়রার ছেলে ওই ধর্ষক নাঈমের বড় ভাই মহারাজ ও তার মা তহমিনাকে জানায়। তারা নাঈমকে সর্তক না করে বিবাহের প্রস্তাব দেয় এবং ভাই ও মা এর সহযোগীতায় নাঈম বিভিন্ন ধরণের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে ফুসলাইয়া পার্শবর্তী ভান্ডারিয়া উপজেলার ইকো পার্কে ঘুরতে নিয়ে যায়। পরে রাতে সেখান থেকে ফিরে ধানীসাফা বাজার-ফুলঝুড়ি বাজার সড়কের পাশে মুজাম্মেল হোসেনের পরিত্যক্ত ঘরে অবস্থান করে রাত্রি যাপন করে ও ওই মাদরাসা ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে রাত ব্যাপী ধর্ষণ করে। বিষয়টি ধর্ষকের মা ও তার বড় ভাইকে জানালে তারা বিচারের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষককে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।
মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল হক জানান, এ ব্যপারে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বুধবার রাতে থানায় মামলা করেছে। এ মামলায় অভিযুক্ত মহারাজকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ধর্ষণের শিকার ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বুধবার সকালে পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় ধর্ষকসহ অন্য আসামী গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যহত রয়েছে।