যুবককে হত্যা চেষ্টার মামলায় আপন ভাইসহ প্রতিবেশী আত্মীয়কে হয়রানির অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: মঠবাড়িয়ার কুমিরমারায় নাসির উদ্দিন আকাশকে হত্যার চেষ্টা মামলায় আপন ভাই জাহাঙ্গীর হাওলাদারসহ ইমরান নামের প্রতিবেশী এক মামাতো ভাইকে আসামি করার অভিযোগ ওঠছে। মঠবাড়িয়া থানায় দুইজন এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জন আসামী করে গত ১২ সেপ্টেম্বর আহত যুবক আকাশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে। এ মামলায় নিরীহ লোককে জড়িয়ে হয়রানী করায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার আসামী ইমরান মাতুব্বরের ভাই শাহারিয়া সুমন মাতুব্বর তাই ভাইকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ এনে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
উপজেলার উত্তর হলতা গ্রামের মৃত. আফজাল হোসেন মাতুব্বরের পুত্র শাহারিয়া সুমন লিখিত অভিযোগে বলেন যে, গত ১২ সেপ্টেম্বর’১৮ তারিখ তার প্রতিবেশী নাসির উদ্দিন আকাশ বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- ১৮/৩০৮ তাতে বাদীর আপন বড় ভাই জাহাঙ্গীর হাওলাদার ও আমার ছোট ভাই ইমরান মাতুব্বরকে আসামী করে। উক্ত মামলায় ঘটনার সময় উল্লেখ করা হয় ৮ সেপ্টেম্বর’১৮ ইং রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টা। কিন্তু ওই সময় ১ নং আসামীর ও বাদীর আপন বোন আসমা বেগমের ডৌয়াতলা বাসায় অবস্থান করছিল এবং ২ নং আসামী আমার ভাই ইমরান ওই সময় নিজ গ্রামে ফজলুল হকের চায়ের দোকানে টিভি দেখতে ছিল। মঠবাড়িয়া থানায় দুই আসামীকে জড়িয়ে দায়ের করা মামলাটি মিথ্যা বলে দাবী করেন।
লিখিত অভিযোগের পর সাংবাদিকরা সরেজমিনে উত্তর হলতা গেলে স্থানীয় ব্যবসায়ী ফজলুল হক জানান, ইমরান সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত তার দোকানে অবস্থান করে চা পান করছিল। ওই গ্রামের জালাল হাওলাদার (৫৫) ও গরু ব্যবসায়ী কালাম হাওলাদার (৪৮) জানান, ভাইয়ে ভাইয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। বাদীর আপন মামাতো ভাই ইমরান এলাকায় নিরীহ ছেলে হিসেবে পরিচিত। মামলার বাদি নাসির উদ্দিন ও আসামী জাহাঙ্গীর হাওলাদারের আপন ছোট বোন আসমা বেগমও ঘটনার সময় ওই রাতে আমার বড় ভাই জাহাঙ্গীর হাওলাদার আমাদের বাসায় ছিলেন বলে দাবী করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার এসআই আবু জাফর জানান, মামলার বাদী নাসির উদ্দিন ও বড় ভাই জাহাঙ্গীরের সাথে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এছাড়াও আপন মামাতো ভাই ও ভাইয়ের শ্যালক ইমরান মাতুব্বরের সম্প্রতি জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্তের পর জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আসামীরা এলাকায় না থাকায় তাদের কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে আসামী গ্রেফতারে পুলিশী তৎপরতা অব্যহত রয়েছে।