মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিয়ে ব্যবসায়ীকে হয়রানীর অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিয়ে এক ব্যবসায়ীকে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় গত তিন মাস ধরে জেল-হাজতে থাকা ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী মোসাঃ মনিরা আক্তার বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে মঠবাড়িয়া প্রেসকাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিন সন্তানের জননী মনিরা আক্তার বলেন, তার স্বামী নুরুজ্জামান (৪৮) উপজেলার বাইশকুড়া বাজারের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। দোকানের মালামাল বাকীতে কেনাবেচা ও তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তার সাথে একই বংশের চাচাতো ভাই আজিজ খা’র পুত্র হাসনাতের বিরোধ দেখা দেয়। এ বিরোধের জের ধরে হাসানাত ও তার সহযোগী আমান উল্লাহ, ইউনুচ ও বাদল মিলে ওই বাজারে বিভিন্ন হোটেলে দিনমজুরের কাজ করা ১১ বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ দিয়ে নূরুজামান এর বিরুদ্ধে গত ১১ই আগষ্ট মঠবাড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করায়। ওই শিশুর মা বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় পুলিশ নূরুজামানকে ওইদিনই গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। তিন সন্তানের জনক নুরুজ্জামানকে জেল হাজতে পাঠিয়ে ওই শিশুকে পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠালেও শিশুর ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি।
তিনি আরো বলেন, গত তিন মাস ধরে এ মিথ্যা মামলায় তার স্বামী জেল হাজতে থাকায় বর্তমানে শ্বাস-কষ্টসহ বিভিন্ন রোগে ভূগছে। এছাড়াও পরিবারের উপার্জনের একমাত্র দোকান ঘরটি বন্ধ থাকায় গোটা পরিবার অর্ধাহারে-অনাহারে জীবন যাপনসহ বিভিন্ন এনজিও’র কিস্তির তাগাদা দিচ্ছে। এছাড়াও অর্থাভাবে তার স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার এস,আই রেজাউল করিম রাজিব বলেন, মামলা দায়েরের পর এজাহার নামীয় আসামী নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয় এবং ওই শিশু বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে ২২ ধারায় আদালতে ধর্ষণের জবানবন্দী প্রদান করে।