মহাজোট সমর্থক ও আ.লীগ নেতার পুকুরে দুর্বৃত্তদের বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন
স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মহাজোট সমর্থক ও সাপলেজা ইউনিয়ন আ.লীগ নেতা মজিবুর রহমান মুন্সীর বসত বাড়ীর পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় দেড় লাখ টাকার মাছ লুট ও ক্ষতিসাধন করেছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) দিনগত গভীর রাতে ওই ইউপির ৮ নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বুখইতলা বান্ধবপাড়া গ্রামের বসত ঘর সংলগ্ন পুকুরে বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটে। এতে ঘের মালিক ওই নেতার প্রায় দেড় লাখ টাকার মাছ ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন। নির্বাচনী সহিংসতায় প্রতিপক্ষের হামলার ক্ষত শুকাতে না শুকাতেই ওই নেতার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মারার ঘটনায় গোটা পরিবার সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে এবং এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
পারিবারিক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ ডিসেম্বর স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিরাজ মিয়া ও তার দলবলের ধারালো অস্ত্রের হামলায় মুজিবুর রহমান মুন্সী, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিনসহ ৪ জন গুরুতর জখম হয়। আহত মজিবরসহ অন্যরা দীর্ঘ এক সপ্তাহ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বুধবার বাড়ীতে আসে। পরিবারের লোকজন নিয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়লে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তার বসত ঘর সংলগ্ন ঘেরের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে গলদা, রুই, কাতলাসহ অন্যান্য প্রজাতির মাছ লুট করে নেয়। কিছু মাছ পুকুরে থাকলেও তা সকালে ভেসে ওঠে।
গৃহকর্তার স্ত্রী নারগিস পারভীন জানান, গভীর রাতে টের পেলেও নিরাপত্তার কারনে ঘর থেকে বের হতে পারিনি। এতে প্রায় আমাদের দেড় লক্ষাধিক টাকার মাছের ক্ষতি হয়। গৃহকর্তা মুজিবুর রহমান মুন্সী অভিযোগ করেন, নির্বাচনী জের ধরে আমার ওপর যারা সশস্ত্র হামলা করেছে এবং যাদের বিরুদ্ধে আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি সেই আসামীরাই ইউপি চেয়ারম্যান মিরাজ মিয়ার নির্দেশে সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা মিরাজ মিয়া তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মুজিবুর রহমান মুন্সীর দায়ের করা মামলায় আসামী হয়ে আমি ঘাঁ ঢাকা দিয়ে থাকি।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এম.আর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।