মঠবাড়িয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে বাল্য বিয়ের চেষ্টা ॥ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ
দিলীপ মজুমদার : অবশেষে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল দশম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রী। অভিনব কৌশলে চাচা আবুল কালাম আজাদ এর বৌভাত অনুষ্ঠানের অন্তরালে মাদ্রাসা ছাত্রী মাকসুদার (১৫) চলছিল বিয়ের আয়োজন। হাতে মেহেদী, গায়ে হলুদ শেষ হয়ে গেলো বিয়ের গোসল। বরও চলে এসেছে কনের বাড়িতে। এমনি সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ক্রেডিট সুপারভাইজার আবু জাফর খান ও স্টেপস্ কর্মী ইসরাত জাহান মমতাজ বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হলে মুহুর্তেই পাল্টে গেলো বিয়ের পরিবেশ। অবেশেষে ভেঙ্গে গেল বাল্য বিয়ে।
উপজেলার ঝাটিবুনিয়া গ্রামের কৃষক ইসমাইল হোসেনের মেয়ে মাকসুদা আক্তারের সাথে বরগুনা জেলার তালতলী গ্রামের জয়নাল হোসেনের ছেলে জেলে আলামিন (৩২) এর পারিবারিক ভাবে বিয়ে ঠিক হয়। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলে স্থানীয় বাসিন্দারা অনলাইনে কেন্দ্রীয় মহিলা অধিদপ্তরে বাল্য বিয়ের অভিযোগ দেয়। সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর অভিযোগটি আমলে নিয়ে মঠবাড়িয়ার ইউএনওসহ স্থানীয় মহিলা অধিদপ্তরকে অবহিত করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিএম সরফরাজ জানান, চাচার বিয়ের ছায়ায় ওই শিক্ষার্থীর বাল্য বিয়ে চলার খবর পেয়েই তাৎক্ষনিক পুলিশ, মহিলা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও এনজিও প্রতিনিধি পাঠিয়ে ওই শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকদের নিয়ে এসে মুচলেখা দিয়ে ছেড়ে দেই। এসময় খবর পেয়ে বরপক্ষ পালিয়ে যায়।