মঠবাড়িয়ায় পুলিশ স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর যৌতুক মামলা ॥ কনষ্টেবল সেফাতুল্লাহ জেল হাজতে
স্টাফ রিপোর্টার : মঠবাড়িয়ায় পুলিশ কনষ্টেবল স্বামীর যৌতুকের দাবীকৃত ৫ লাখ টাকা না দেয়ায় স্ত্রীর ওপর অমানষিক নির্যাতন ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধু নাসরিন আক্তার (২১) পুলিশ কনষ্টেবল স্বামীর বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ সেফাতুল্লাহ (২৮) কে গ্রেফতার করে গতকাল মঙ্গলবার আদালতে পাঠায়। বিজ্ঞ আদালত স্বামী সেফাতুল্লাহর জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়।
মামলা সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ধানীসাফা গ্রামের সৌদি প্রবাসী নাসির উদ্দিনের একমাত্র কন্যা ও সাফা ডিগ্রি কলেজের স্মাতক ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী নাসরিন আক্তার (২১) এর সাথে ২০১৪ সালে আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ধুপতী গ্রামের আনোয়ার হোসেনের পুত্র বরগুনা পুলিশ লাইনসের কনষ্টেবল সেফাতুল্লাহর সাথে শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের সময় শ্বশুর সেফাতুল্লাহকে ৩ লাখ টাকার মালামাল ও স্বর্ণালংকার দিয়ে নাসরিনকে তার বাড়ীতে তুলে দেয়। এর কিছুদিন যেতে না যেতেই সেফাতুল্লাহ স্ত্রীর কাছে একটি পালসার মোটরসাইকেলের বায়না করে স্ত্রীর ওপর শারিরীক ও মানষিক চাপ দেয়। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে নাসরিনের মা জামাইকে প্রায় ২ লাখ টাকায় একটি পালসার মোটরসাইকেল কিনে দেয়। এতেই ক্ষান্ত না হয়ে সেফাতুল্লাহ পুনরায় নাসরিন এর পিতার বসত ঘরে এক বৈঠকে বসে তার পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকার যৌতুক দাবী করে। এর প্রতিবাদ করলে এক কন্যা সন্তানের জননী নাসরিনকে স্বামী, শ্বশুর-শ্বাশুরীসহ লোকজন বেধরক মারধর করে। আহত নাসরিন মঠবাড়িয়া হাসপাতালে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নেয়।
ওই মামলায় আরও জানা যায়, সেফাতুল্লাহ নাসরিনের অনুমতি না নিয়েই আমতলী থানার বাসুকী গ্রামের মো. হারুন হাওলাদারের কন্যা হাফসা বেগমকে ২য় বিবাহ করে।
এ ব্যাপারে গত ৭ মার্চ নাসরিন বেগম বাদী হয়ে স্বামী, শ্বশুরসহ ৪জনকে আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করলে বরগুনা পুলিশের সহযোগিতায় সেফাতুল্লাহ কে ওই মামলায় গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার এস.আই শাহাবুদ্দিন স্ত্রীর যৌতুক মামলায় পুলিশ সদস্য সেফাতুল্লাহর গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ মামলায় অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।