মঠবাড়িয়ায় নিষিদ্ধ গাইডের প্রশ্নপত্র দিয়ে চলছে প্রাথমিকের পরীক্ষা! অভিভাবকদের ক্ষোভ ॥ পরীক্ষা স্থগিত
স্টাফ রিপোর্টার : মঠবাড়িয়া পৌর শহরের প্রাণ কেন্দ্রের ঐতিহ্যবাহী দু’টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় সরকার নিষিদ্ধ গাইডের প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি ফাঁস হলে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মাঝে কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা স্থগিত করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, শহরের ৫৬ নং মডেল ও ৫৯ নং বকসীর ঘটিচেরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই সহা¯্রাধিক শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় সাময়িক চলমান পরীক্ষায় সরকারের নিষিদ্ধ গাইড ‘শর্টকাট সাজেশন’ থেকে হুবহু তৈরী করা প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করেন।
গতকাল শুক্রবার রাতে মঠবাড়িয়া প্রেসক্লাবে আ’লীগ সহ-সভাপতি ও তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীর অভিভাবক আরিফ-উল-হক সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, গত বুধবার (৯আগস্ট) দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় তৃতীয় শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় প্রশ্নপত্র যাহা ‘শর্টকাট সাজেশন’ এর ১১৯ পৃষ্ঠার ৭নং মডেল এর সাথে শিক্ষার্থীদের মাঝে সরবরাহকৃত প্রশ্নের হুবহু মিল রয়েছে। এছাড়াও গত বৃহস্পতিবার ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা প্রশ্নপত্রের সাথেও ওই গাইডের ১৪৭ নং পৃষ্ঠার প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল রয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন ওই দিন চতুর্থ শ্রেণীর ধর্ম পরীক্ষার সময় তিন ধরনের প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীদের মাঝে বিলি করা হয়। বিষয়টি তাৎক্ষনিক কতৃপক্ষকে অবহিত করলে ওই পরীক্ষা স্থাগিত করতে বাধ্য হন।
অভিভাবকদের অভিযোগ কতিপয় শিক্ষা অফিসের অসাধু কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের সাথে গাইড বই প্রকাশনা সংস্থার লোকদের যোগসাজসের মাধ্যমে বিক্রির উদ্দেশ্যে ওই গাইডের হুবহু প্রশ্ন করা হয়েছে।
মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম জানান, ধর্ম পরীক্ষার দুই ধরনের প্রশ্নপত্র শিক্ষা অফিস ভুলক্রমে তার বিদ্যালয়ে সরবরহ করে। অন্য স্কুলের প্রশ্নের সেট বিলি করার পর ধরা পরলে তাৎক্ষনিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। ‘শর্টকাট সাজেশন’ থেকে প্রশ্নপত্র তৈরীর বিষয়ে বলেন, অভিভাবকগণ অভিযোগ দিলে তাৎক্ষনিক আমি বিষয়টি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, গাইড বই থেকে প্রশ্নপত্র তৈরীর বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি.এম. সরফরাজ বলেন, নিষিদ্ধ গাইড বই থেকে প্রশ্ন তৈরি করার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।