মঠবাড়িয়ায় ঘর ভেঙে বসত ভিটায় গাছ রোপন করে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্ট : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় একটি হতদরিদ্র পরিবারের বসত ঘর ভেঙ্গে নিশ্চিহ্ন করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় সোমবার ভাংচুর ও মালামাল লুটের অভিযোগ এনে ১১ জনকে আসামি করে অসহায় লিলি বেগম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার জরিপেরচর গ্রামের প্রতিবন্ধী জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী লিলি বেগম ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জমিতে দীর্ঘদিন ধরে ঘর তুলে বসবাস করে আসছিলেন। ওই বসত ঘরের জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ একই এলাকার মৃত. কাদের মোল্লার ছেলে শাহ আলমের সাথে বিরোধের জের ধরে গত ১৯ অক্টোবর ভোর রাতে শাহ আলম ও তার চাচাত ভাই স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফার নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি দল লিলি বেগম ও তার ছেলে ইমনকে জিম্মি করে ঘর ভেঙে দিয়ে জমি দখল করে নেয়। এ সময় ঘরের টিন, কাঠ, আসবাবপত্রসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নেয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহ আলম বসত ভিটা দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে বরং ওই বিরোধীয় জমির পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বৈধ মালিক এবং এই জমির কাগজপত্র তাদের নামে রয়েছে বলে দাবী করেন। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোঃ মোস্তফা হাওলাদার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন-পৈত্রিক সূত্রে ওই জমির মালিক শাহ আলম ভূল বশত: রেকর্ডের বলে লিলি বেগম দখল করতে চায়। তিনি আরও বলেন ওইখানে কোন বসত ঘর ছিল না শুধুমাত্র একটি গোয়াল ঘরের ভীত ছিল।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) আবদুল জলিল প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী লিলি বেগম এই এলাকার বাসিন্দা নয় এবং ওই জমিতে লিলির বসত ঘর ছিলনা দাবী করে বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে দেখি লিলি বেগম বিরোধীয় জমিতে জোরপূর্বক সুপারি পারতে ছিল তখন আমি নিষেধ করলে সে চেয়ারম্যানকে গালিগালাজ করে সেখান থেকে চলে যায়।
এ বিষয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন আকন বলেন, গত ১৫ দিন আগে বিষয়টি লোক মুখে শুনে দুপক্ষকে ডেকে শালিস বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু লিলি বেগমের অনীহার কারনে তা আর সম্ভব হয়নি।
এদিকে আদালতে মামলা দায়েরের পর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঠবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো. হেমায়েত উদ্দিনকে ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।