মঠবাড়িয়ায় কুরবানির পশুর চামড়ার মূল্যে ধ্বস! মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বিপাকে
স্টাফ রিপোর্টার : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় কুরবানির পশুর চামড়ার দামে স্মরণ কালের ভয়াবহ ধ্বস নেমেছে। চামড়া ক্রয়ে সরকারী রেট কম এবং ব্যক্ষসায়িদের সিন্ডিকেটের কারণে পানির দামে চামড়া বিক্রি হওয়ায় বঞ্চিত হয়ছে গরীব, মিসকিনরা। গত বছরের ন্যায় এবছরও চামড়া ব্যবসায় লোকসানের আশংকা করছে ব্যবসায়িরা।
জানাযায়, এবছর চামড়া ক্রয়ে সরকারী রেট দেয়া হয় ৩৫ থেকে ৪০ টাকা(ঢাকার বাইরে) যা গত বছর ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। মৌসুমী ব্যবসায়িরা নামে মাত্র দামে গরুর চামড়া ক্রয় করলেও ছাগলের চামড়া কেউ ক্রয় করেনি।
মঠবাড়িয়া পৌর সভা নিবাসী ঢাকা জজ কোর্টর শিক্ষানবীশ আইনজীবি হাসানুল বান্না জানান, গত বছর গরুর চামড়া ৬০০ টাকায় বিক্রি করেছে এবছর একই দামের গরুর চামড়া বিক্রি করেছে মাত্র ১২০ টাকায়। গরীব মিসকিনদের থেকে বঞ্চিত করা এবং চামড়ার বাজার ভারতের হাতে তুলে দেয়ার জন্য চামড়ার দামে পরিকল্পিতভাবে ধ্বস নামানো হয়েছে বলে বান্না জানান।
উপজেলার ওয়াহেদাবাদ গ্রামের মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ি আঃ সালাম(৫৫) জানান, গত বছরের লোকসানের কথা মাথায় রেখে এবছর কম দামে চামড়া কিনেও ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেটের কারনে লাভ করতে পারেনি।
মঠবাড়িয়া পৌর সভার চামড়া ব্যবসায়ি সতিশ দাস জানান, বিদেশে রপ্তানি বন্ধ এবং ট্যানারী মালিকরা টাকা না দেয়ায় চামড়ার দাম কম। গত বছর চামড়ায় তার ৩১ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। এবছরও সরকার সু-নজর নাদিলে লোকসানের আশংকা সতিশ দাসের।
এদিকে চামড়ার দামে ধ্বসে বঞ্চিত হয়েছে গরীব মিসকিনরা। উপজেলার চালিতাবুনিয়া ছালেহিয়া হামেদিয়া দ্বীনিয়া মাদ্রাসার মুদির মাওলানা আবুল কালাম জানান, মাদ্রাসার লিল্লাহ বোডিংয়ে (৫২ জন শিক্ষার্থী) প্রতি বছর কুরবানিতে সংগ্রহ করা চামড়া বিক্রি করে ১৪/১৫ হাজার টাকা আসে। এবছর ৪ হাজার টাকাও আসেনি।