মঠবাড়িয়ায় ক্লিনিকের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে প্রায় দুই কোটি টাকা চুরির অভিযোগে মামলা
স্টাফ রিপোর্টার: মঠবাড়িয়ায় ধানীসাফা বন্দরে অবস্থিত আবদুর রাজ্জাক সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের নির্মাণ ও ক্লিনিকের বিভিন্ন আসবাবপত্র ক্রয়কালে ওই ক্লিনিকের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে এক কোটি ৮৯ লাখ টাকা চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী হাজী আবদুর রাজ্জাক (২৩ আগষ্ট) শুক্রবার রাতে তার ক্লিনিকের সাবেক ম্যানেজার ইব্রাহীম খলিলকে প্রধান করে থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনায় শনিবার সকালে ইব্রাহীম খলিলকে পৌরশহরের তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুবনা গার্মেন্টস থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফুলঝুড়ি গ্রামের মৃত. কাঞ্চন আলী ফকিরের পুত্র আলহাজ্ব আবদুর রাজ্জাক দীর্ঘ ২৬ বছর যাবৎ কুয়েতে ব্যবসা বাণিজ্য করে আসছিলেন। তিনি গত ৮ জানুয়ারী’২০১৩ তারিখ সাফা কলেজের পূর্ব পার্শ্বে জমি ক্রয় করে নিজ নামে হাজী আবদুর রাজ্জাক সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার নির্মাণ করার উদ্দেশ্যে স্থানীয় পূর্ব ফুলঝুড়ি গ্রামের মৃত. তুজাম্বর আলী আকনের পুত্র ইব্রাহীম খলিলকে ম্যানেজার নিয়োগ করে সার্বিক দায়িত্ব দেয়। পরে তিনি কুয়েত চলে যান। এ সময় ম্যানেজার ইব্রাহীম ক্লিনিক নির্মাণ থেকে শুরু করে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের যন্ত্রপাতি ক্রয়ে মালিকের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে তুষখালী সোনালী ব্যাংক (হিসাব নং- ৩০৯০) এর মাধ্যমে প্রায় ৫ কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা গ্রহণ করে। এছাড়াও কুয়েতে লোক পাঠানো, জমি বন্ধক, বিদ্যুৎ সংযোগ, হাসপাতালের মাসিক আয়সহ ইব্রাহীম খলিলকে মোট আরও ৬৬ লাখ টাকাসহ মোট ৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা প্রদান করেন মালিক আবদুর রাজ্জাক। এর মধ্যে ম্যানেজার ইব্রাহীম খলিল ৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকার হিসেব বুঝিয়ে দিলেও অবশিষ্ট এক কোটি ৮৯ লাখ টাকার হিসেব প্রদান করতে ব্যর্থ হয়। ওই টাকা চাইতে গেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তার ক্লিনিক ছেড়ে চলে যায়।
ক্লিনিক ম্যানেজার ইব্রাহীম খলিল তার বিরুদ্ধে আনীত চুরির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ২০১৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত আমি ওই কিনিকের ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে যন্ত্রপাতি ক্রয় করি এবং ২০১৭ সালের জুলাই মাসে মালিককে যাবতীয় আয়-ব্যয়ের হিসেব বুঝিয়ে দিয়ে তার কাছে ২০ লাখ টাকা আমি বেতন হিসেবে পাই। আমাকে হয়রানী করার জন্য এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আবদুল্লাহ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় এজাহার নামীয় খলিলকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।