বেতন ভাতা না দেওয়ায় হাজী আবদুর রাজ্জাক কিনিক মালিকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
স্টাফ রিপোর্টার: বকেয়া ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা বেতন ভাতা পরিশোধ না করায় উপজেলার ধানীসাফায় হাজী আবদুর রাজ্জাক সার্জিক্যাল কিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে ওই কিনিকের সাবেক ম্যানেজার ইব্রাহীম খলিল। গত বৃহস্পতিবার ওই ম্যানেজার ইব্রাহীম খলিল বাদী হয়ে কিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রাজ্জাককে প্রধান আসামী করে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমানকে সরেজমিন অনুসন্ধান এবং স্যা প্রমাণ গ্রহণ পুর্বক পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই কিনিকের মালিক আবদুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন যাবত কুয়েত প্রবাসী। তিনি ২০১৩ সালে কুয়েতে থাকাকালীন মাসিক ২৫ হাজার টাকা বেতনে তার সহকারী হিসেবে উপজেলার ফুলঝুড়ি গ্রামের মৃত তুজাম্বর আলীর পুত্র ইব্রাহিম খলিলকে নিয়োগ দেন। এরপর থেকে ইব্রাহিম খলিল ২০১৭ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত কুয়েত প্রবাসী আঃ রাজ্জাকের সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ইব্রাহীম খলিল অভিযোগ করেন, কিনিক মালিক আবদুর রাজ্জাক অশিতি লোক হওয়ায় নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তার সমস্ত জমিজমা দেখাশুনার দায়িত্ব আমাকে দেন এবং আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর উপজেলার সাফা ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন জমি ক্রয় করে হাজী আবদুর রাজ্জাক সার্জিক্যাল কিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টি সেন্টারের বিল্ডিং নির্মাণ ও কিনিকের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করি। কিন্তু কিনিক মালিক আঃ রাজ্জাক ২০১৩ সালের জানুয়ারী মাস থেকে ২০১৭ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত কোন বেতন ভাতা পরিশোধ না করে বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকে।
এ ব্যপরে কিনিকের মালিক হাজী আবদুর রাজ্জাক কুয়েতে তার কর্মস্থলে যাওয়ায় তার সাথে সরাসরি কথা না বলা গেলেও মুঠোফোনে তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খলিলকে আমি প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা করে বেতন পরিশোধ করেছি। তিনি আরো বলেন আমি তার কাছে প্রায় ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা পাব এবং এ নিয়ে থানায় মামলা করলে সে আমাকে হয়রানী করার জন্য পাল্টা মামলা দায়ের করেছেন।