প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বেচ্ছচারিতার বিরূদ্ধে শিক্ষকদের সংবাদ সংম্মেলন
স্টাফ রিপোর্টার ঃ দক্ষিনাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী কে, এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় পরিচালনায় অব্যাবস্থাপনা, আর্থিক দুর্নীতি, খামখেয়ালীপনা ,স্বেচ্ছাচারিতা ও শিক্ষক কর্মচারীদের স্কুল প্রদেয় ভাতাদি গত ২০ মাস ধরে আটক রাখার অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয়ে কর্মরত ত্রিশ শিক্ষকের (এমপিও ভূক্ত)মধ্যে বিক্ষুব্ধ ২১ জন শিক্ষক আজ শনিবার দুপুরে পৌর শহরের স্থানীয় একটি রেস্তরায় এ সংবাদ সম্মেলন সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি,স্বেচ্ছাচারিতাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যালয়ের কর্মরত ২১ জন শিক্ষক স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে খলিলুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক ২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী যোগদান করার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি নিজের খেয়াল খুশিমত পরিচালনা করে আসছে এবং সহকারী শিক্ষকদের নানা ভাবে হয়রানী ও অসৌজন্য মূলক আচরন করছেন। এছাড়া প্রধান শিক্ষক খামখেয়ালী ভাবে গত ২০ মাস ধরে শিক্ষদের স্কুল প্রদেয় বেতন- ভাতাদি বন্ধ করে রেখেছেন।যাতে বর্তমান করোনা কালে শিক্ষকরা বিদ্যালয় হতে ভাতাদি না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
অভিযোগে আরও বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রনালয় থেকে অনুদান ২ লাখ টাকা, একটি বেসরকারি সংস্থার সম্মেলন খরচ বাবদ ৬০ হাজার, ম্যাগাজিন প্রকাশ ৩ লাখ ২১ হাজার, বিদ্যালয়ের মার্কেটে ৬৫০ টি দোকান বরাদ্ধ বাবদ স্টল প্রতি ২ লক্ষ টাকাসহ ভ’য়া বিল ভাউচার দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের অন্যান্য আয় সহ ফান্ডে আনুমানিক ১০ কোটি টাকা গচ্ছিত থাকার কথা। যা এখন শুন্যের কোঠায়।
বিদ্যালয়য়ে নেটিজেন নামে একটি আইটি প্রতিষ্ঠানকে লাখ লাখ টাকা প্রদানের বিল ভাউচার হলেও পূর্ণাঙ্গ সুবিধা মেলেনি। অথচ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩০০ শত টাকা করে আদায় করছেন। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের মুসলিম ছাত্রাবাসটি বন্ধ করে অর্ধ কোটি টাকা ব্যায়ে বিলাসবহুল বাসস্থান নির্মাণ করেন । ফলে বিদ্যালয়ের মুসলিম ছাত্রাবাসটি চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে। প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকে বিদ্যালয় ফান্ড হতে প্রতিমাসে ১৯ হাজার ৩৪৫ টাকা নেন অথচ এমপিও ভুক্ত শিক্ষকরা যোগদানের সময় মাত্র ৫০০ টাকা পান। তিনি বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা খান সাহেব হাতেম আলীকে স্বাধীনতা বিরোধী আখ্যা দিয়ে চরম অপমান ও অকৃতজ্ঞতার পরিচয় দেন।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন, বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষক অমল হালদার, সহকারী শিক্ষক মোঃ নুর হোসেন ও মোঃ এনামুল হক।এসময় বক্তারা আরও বলেন-মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান শিক্ষক পদে যোগদানের পর তার খামখেয়ালীপনায় ও অনিয়ম ওদূর্ণীতির কারণে এ প্রতিষ্ঠানটি শত বছরের অতীত এতিয্য হারিয়ে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে এসে পৌছেছে। পূর্বে থেকেই তার অব্যবস্থাপনার কারনে বিদ্যালয়ের ১হাজার ৬শত শিক্ষার্থীর পড়াশূনা ব্যাহত করে অত্র প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন সময় আন্দোলনের নামে মঠবাড়িয়াবাসীর বিপক্ষে দাড় করিয়েছে।এ থেকে উত্তরণের জন্য প্রক্তন ছাত্রসহ সবাইকে একত্রিত হওয়ার আহবান জানান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের অর্থ খরচ আমার একার আওতাভুক্ত নয়। সকল খরচের ভাউচার সংরক্ষিত আছে।এছাড়া বিদ্যালয়ের আয়ের চেয়ে ব্যায় বেশী হওয়ায় তৎকালীন মানেজিং কমিটি সভা করে শিক্ষক কর্মচারী বেতন ভাতা বন্ধ করেছেন।এতে আমার কোন সংশ্লিষ্ঠতা নেই।