প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
সম্প্রতি একটি দৈনিক ও আঞ্চলিকসহ কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে তুষখালী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট, মার্কশীটসহ কাগজপত্র আটকিয়ে রাখার যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: হাফিজুর রহমান। তিনি প্রকাশিত সংবাদকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট দাবী করে বলেন, স্থানীয় একটি মহল তার বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এ প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তার বিদ্যালয়টি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় হলেও ওই কুচক্রী মহলটি নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
প্রকাশিত সংবাদে তার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া সাফা, তাজ বিনতে মাহফুজ ও ফারিয়াকে অত্র প্রতিষ্ঠানের কোন অনুমতিপত্র বা ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধ ভাবে পাশর্^বর্তী তুষখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয়। শিক্ষার্থীদের ছাড়পত্র ছাড়া ভর্তি সম্পূর্ণ বেআইনী। কাগজপত্র আটকিয়ে রাখার কোন প্রশ্নই ওঠেনা। মুলত: ওই শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকগণ ছাড়পত্র চেয়ে এখন পর্যন্ত স্কুলে কোন আবেদনও করেনি।
সরকারী পরিপত্রে স্পষ্ট উল্লেখ আছে সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপিত হতে পারবে। তার বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিও যথাযথ বোর্ড কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই চালু করা হয়। এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোন অবকাশ নেই। শিক্ষার্থীদের ছাড়পত্র ছাড়া ভর্তির বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচরে আছে। এ বিষয়ে বোর্ড কর্তৃপক্ষই সিদ্ধান্ত নিবেন।
মুলত: একটি মহল আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় এবং আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করার জন্য সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে উক্ত সংবাদ প্রকাশ করেছে যার কোন ভিত্তি নাই। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। -মো: হাফিজুর রহমান, প্রধান শিক্ষক, তুষখালী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর।