তুচ্ছ ঘটনা ও মাদ্রাসা কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ৩জনকে কুপিয়ে জখম ॥ থানায় জিডি
স্টাফ রিপোর্টার: উপজেলার বড়শৌলা গ্রামে শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় সাইদুর রহমান খান (৬০) তার দুই পুত্র শাহাদাত (৪৫) ও তৈয়ব খান (৩৮) কে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। ওই গ্রামের দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন মালেক মিয়ার দোকানের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহতদের ওই রাতে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কিন্তু তাদের অবস্থার অবনতি হলে রাতেই কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করে।
আহত সূত্রে জানা যায়, একটি মামলার স্বাক্ষী হওয়ার জের ও সম্প্রতি বড়শৌলা দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য লতিফ খানের সাথে প্রতিবেশী মোশারফ হোসেন খানের বিরোধ দেখা দেয়। এ বিরোধের জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় দাখিল মাদ্রাসার সামনে মালেকের দোকানের সামনে যাওয়া মাত্রই প্রতিপক্ষ নাছিরুল্লা ওরফে জাহিদ ও তার পিতা মোশারেফ, ভান্ডারিয়ার সিংহখালীর ভাড়া করা রহিমের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি দল পরিকল্পিত ভাবে তাদের ওপর হামলা করে।
মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দায়ের করা এমপি নং ৫৩৬/১৮ মামলার বাদী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল লতিফ খান জানান, এ হামলার ঘটনার আগে শুক্রবার দুপুরে প্রতিপক্ষ নাছিরুল্লাহ জাহিদ ও তার দলবল তাকে মামলা তুলে না নিলে প্রকাশ্যে মুসুল্লীদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেয়। পরে তারা ওই মামলার স্বাক্ষীদের ওপর হামলা চালিয়ে জখম করে। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে মঠবাড়িয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি সৈয়দ আব্দুল্লাহ মামলার বাদীর ইউপি সদস্যকে হুমকির ঘটনায় সাধারণ ডায়রীর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পিটিয়ে আহতের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।