ডা. ফরাজী এমপিকে সংসদীয় কমিটির সভাপতির পদ থেকে অপসারনের দাবীতে মানববন্ধন
স্টাফ রিপোর্টার: উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়ন মূলক কাজে অবৈধ হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে জাতীয় সংসদের সরকারী হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ থেকে ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী এমপিকে অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা পরিষদ, সকল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের ব্যানারে আয়োজিত এ মানববন্ধনে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ শতাধিক ইউপি সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এ প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান সিফাত, সাংসদের ছোট ভাই আমড়াগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খলিল ফরাজী, গুলিসাখালী ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনো, টিকিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন, সাপলেজা ইউপি চেয়ারম্যান মিরাজ মিয়া, ধানীসাফা ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ তালুকদার প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর-৩) আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী এমপি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ ব্যবহার করে অবৈধ হস্তক্ষেপে এডিপির ৬০ লাখ টাকা ফেরত যায়। এছাড়া তিনি ওই পদ ব্যবহার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদকে অকার্যকর করার বার বার চেষ্টা চালাচ্ছে। বক্তারা অবিলম্বে ওই পদ থেকে সাংসদ ডা. রুস্তুম আলী ফরাজীকে অপসারণের জন্য সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এর আগে সকালে জুলাই মাসের উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলার ১১ ইউনিয়নের ৯ চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সাংসদের অবৈধ হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে সাংসদের বিরুদ্ধে কন্ঠ ভোটে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
এদিকে ডা. রুস্তুম আলী ফরাজীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মঠবাড়িয়ায় করোনা রেড জোনের মধ্যে এ ধরনের সমাবেশ সম্পূর্ণ বেআইনী। আমাকে সংসদীয় কমিটিতে রাখবে কি রাখবে না সেটা সরকারের বিষয়। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহল এ অবৈধ মানববন্ধন করেছে। এডিপির অর্থ ফেরতের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করলেই কাদের দুর্ণীতির কারনে অর্থ ফেরৎ গেছে তা জানা যাবে।