জয় হোক তারুন্যের!
মানব সেবা এক ধরনের পাগলামির নাম, পাগলামি এ কারনেই বলছি পাগলরা নিজেদের স্বার্থ বুঝে না তেমনি সেচ্ছাসেবকরাও নিজেদের স্বার্থ বুঝে না, পাগল যেমন আপন মনে সুখ পায় তেমনি সেচ্ছাসেবকরা সেবা দিয়ে আপন মনে সুখ অনুভব করে! একা একা অনেক বড় পরিবর্তন সম্ভব নয় তাই কোনো এক পাগল তার মত আরো কিছু পাগল কে খুজে খুজে একত্র করতে থাকে তারপর শুরু হয় একটি সংগঠন এক কথায় সৃষ্টি হয় পাগলের দলের। অনেক টা নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে ভালবাসার বন্ধনে শুরু হয় বিশাল কোনো পরিবর্তন, পরিবর্তন টা সবার চোখে নাও পড়তে পারে বিশেষ করে স্বার্থান্বেষী মানুষ গুলোর চোখে তো পড়বেই না, কারন তাদের চোখে একটা স্বার্থের প্রলেপ দেওয়া তারা কখনো নিজেদের স্বার্থ ছাড়া কিছুই দেখতে পায় না, সেচ্ছাসেবকদের কাজ সেই মানুষদের কাছে মনে হবে নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো- ধান্দা-লোক দেখানো-বা সেলিব্রেটি হতে চাওয়া অবশ্য বাংলাদেশে কাজের বা কাজ করে অর্থাৎ সত্যিকারের সংগঠন যেটা আমার ভাষায় পাগলের দল তার সংখ্যা কম ! ফেসবুকে নিজেদের ঢোল পিটাইতে পিটাইতে ফাটাই ফেলে তারা অমুক তারা তমুক, কাজের বেলায় ঠন ঠন।
ভালো কাজ কখনো মানুষকে ছোট করে না, ছোট করে তার ভালো মানুষরূপী অসভ্য চরিত্রটি, যদি আমাদের ভিতর ভালো হওয়ার এবিলিটি না থাকে তাহলে কখনো ভালো হতে পারবো না এমন কি মানবসেবার মত পবিত্র জায়গায়ও আসতে পারবো না, যদি ভালোবাসা আর সম্মান ব্যতীত অন্যকিছুর আশায় কাজ করতে আসি তাহলে মনে করবে সবাই, আমি এখানে মানবসেবা করতে আসি নাই আসছি লোক দেখাতে যেটাতে কোনো সম্মান নাই শুধু আছে নিজেকে কলঙ্কিত করে অচিরে তলিয়ে যেতে, তাই এই মানবসেবা করতে যারা আসছি প্লিজ সবার মন থেকে এই উদ্দেশ্যটা আমরা আমাদের ভিতর থেকে ত্যাগ করি, তাহলে হয়তো আমাদের সম্মান বজায় রাখতে পারবো।
আর সেলুট জানাই সেই সব পাগলদের যারা সেবার তরে নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছেন সকল স্বার্থ ত্যাগ করে, যাদের হাত ধরে স্বপ্ন দেখছে অসংখ্য সুবিধাবঞ্চিত, অসহায়। সত্যের পথে থাকলে বাধা আসবেই যতক্ষণ না কেও কোন কাজে বাধা না দেয় বুঝে নিও তুমি ভুল পথে আছো, যখন দেখবে বাধার প্রাচীর বুকে সাহস নিয়ে এগিয়ে যাও সফলতা নিশ্চিত!
জয় হোক মানবতার!
জয় হোক তারুন্যের!