চোঁখ বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ! যুবলীগ নেতার কবজি কাঁটা চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় গত ইউপি নির্বাচনী প্রচারণায় উপজেলার ২নং ধানীসাফা ইউনিয়নে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীর কর্মী যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান বিপ্লব (৪০) এর হাতের কবজি কাঁটার চাঞ্চল্যকর মামলার এজাহার নামীয় আসামী গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। গাজীপুরের টঙ্গী শহরের পশ্চিম থানা পুলিশের সহযোগীতায় বুধবার (১২ জানুয়ারী সকালে স্থানীয় একটি বাসা থেকে পলাতক আসামী ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল বেপারী (২২) কে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপÍারের পর ফয়সালকে বৃহস্পতিবার ভোররাতে পুলিশ থানায় হাজির করে। গ্রেপ্তারকৃত ফয়সাল উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের দুলাল বেপারীর ছেলে।
পুলিশ এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ধানীসাফা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বিপ্লব গত ২২ ডিসেম্বর’২১ রাত পৌনে ১০ টার দিকে ধানীসাফা ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ প্রার্থী হারুন অর রশিদ তালুকদারের নৌকা মার্কার স্টীকার নিয়ে আলগী বাজারের মসজিদের সামনে যান। ঘটনাস্থলে পৌছামাত্র পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম (রফিক প্রফেসর) এর সমর্থকরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারী কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। এতে তার বাম হাতের কব্জি এবং ডান হাতের একটি আঙ্গুল প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়াও আহতের মাথা, পিঠ ও দুই হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপে একাধিক জখম হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল হতে গুরুতর আহত বিপ্লবকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এসময় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই রাতেই তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর রাতে আহত বিপ্লব এর ভাই আ’লীগ নেতা মিল্টন বেপারী বাদি হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় ৩২ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ১৫ জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেন।
তবে গ্রেপ্তারকৃত ফয়সাল বেপারী স্ত্রী কলেজ ছাত্রী শামিমা সুলতানা এ ঘটনায় তার স্বামী জড়িত নয় দাবী করে বলেন গ্রেপ্তারের পর ঢাকা থেকে আনার পথে পুলিশ পাশর্^বর্তী উপজেলার একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে পুলিশ তার (ফয়সালের) দু’চোঁখ বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করেছে। এমনকি বৃহস্পতিবার সকালে ফয়সালের সাথে তাদেরকে দেখা করতেও দেয়া হয়নি এবং আমাদের না জানিয়ে আহত ফয়সালকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করায়।
এ মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস.আই সোহেল স্বজনদের নির্যাতনের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, স্বজনরা ফয়সালের সাথে দেখা করতে না পারায় এ অভিযোগ করেছে। তিনি আরও বলেন- গ্রেপ্তারকৃত ফয়সাল বেপারীকে বৃহস্পতিবার দুপুরের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং মামলার অন্যান্য আসামী গ্রেপ্তার পুলিশী অভিযান অব্যহত আছে।