কলেজ ছাত্রীকে জোর পূর্বক সেলফি তোলার ঘটনা নিয়ে দু’পক্ষের হামলা ও ভাংচুর
স্টাফ রিপোর্টার: পাথরঘাটায় কলেজ পড়–য়া এক ছাত্রীকে প্রকাশ্যে উত্ত্যক্ত ও জোর পূর্বক সেলফি তোলার ঘটনা নিয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলার বলেশ্বর নদ তীরবর্তী বাবুরহাট বাজারে বিবাদমান দু’গ্রুপের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) এ ঘটনার পর সন্ধ্যা থেকে ওই বাজারে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ওই ছাত্রী জানায়, বুধবার বিকেলে তিনি ও তার ফুফুকে নিয়ে নিকটবর্তী মঠবাড়িয়া উপজেলার বাবুরহাট বাজারে জামাকাপড় বানাতে আসে। এসময় পার্শ্ববর্তী খেতাচিড়া গ্রামের বাদল কাজির বখাটে পুত্র মেহেদী কাজী তার গতিরোধ করে। বাবুরহাট ব্রীজে ওঠা মাত্রই ওই বখাটে তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে জোর পূর্বক সেলফি তুলতে চায়। এসময় ওই ছাত্রী প্রতিবাদ করে। এসময় ওই ছাত্রী পথচারী স্থানীয় তাফালবাড়ীয়া গ্রামের সালাম গাজীর পুত্র রাকিব (১৭) ও মঞ্জু মিয়ার পুত্র বাবু (২৪) কে বিষয়টি জানায়। রাবিক ও বাবু মিলে মেহেদীকে এ ঘটনায় শাষায়। এরপর মেহেদীর বন্ধু স্থানীয় মোশারেফ বাদশার পুত্র নুর জালাল খবর পেয়ে তার দলবল রাকিব ও বাবুর সাথে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে পূর্বের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং স্থানীয় আ’লীগ অফিস ও ৫টি মটর সাইকেল ভাংচুর করে। হামলার ঘটনায় এক পক্ষের নুর জালাল (৩২), তার পিতা মোশারেফ বাদশা (৬০) ও তার বোন তন্বি (২২) আহত হয়।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আ.জ মো. মাসুদুজ্জামান মিলু জানান, একটি মেয়ে সংক্রান্ত ঘটনা ও রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের জের নিয়ে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে পরস্পর বিরোধী বক্তব্যে পাওয়া যাচ্ছে। এ ঘটনায় কোন পক্ষই লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে ওই বাজারে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় তাফালবাড়ীয়া গ্রামের আনোয়ার হাওলাদারের পুত্র রুবেল (৩০) নামের একজনকে আটক করা হয়েছ।