করোনার মধ্যে ডায়েরিয়ার প্রকোপ ॥ কলেরা স্যালাইন সংকট চরমে
স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মহামারী করোনার প্রকোপের মধ্যে ডায়রিয়া ব্যাপক আকারে দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত রোগীরা স্যালাইন সঙ্কটের কারণে সঠিক সময় চিকিৎসা পাচ্ছেনা। গত এক সপ্তাহে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুসহ ২ শতাধিক নারী-পুরুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালে বেডের অভাবে অনেক রোগী মেঝেতে আশ্রয় নিয়েছে। হঠাৎ করে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। প্রচন্ড গরম, এলাকায় বিশুদ্ধ পানির উৎস না থাকায় দূষিত পানি পান করে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার একটি পৌর শহর ও ১১টি ইউনিয়নে গত এক সপ্তাহে ২ শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে হাসপাতাল ও বাজারে তীব্র স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে। মঠবাড়িয়া পৌর শহরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারের ফার্মেসীগুলো স্যালাইন শূণ্য হয়ে পরেছে। মাঝে মাঝে ২/১টি পাওয়া গেলেও তা অগ্নি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। পৌর শহরের ঔষধ ব্যবসায়ী মোঃ কামাল হোসেন বলেন- ওষুধ কোম্পানিগুলো পর্যাপ্ত স্যালাইন সরবরাহ করতে না পারায় বাজারে কলেরাসহ খাবার স্যালাইনের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
এদিকে উপজেলার ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলোতে খাবার স্যালাইনেরও সংকট দেখা দিয়েছে। মিরুখালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহকারী মেডিকেল অফিসার ডাঃ শফিকুল ইসলাম জানান, তার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য ১০ হাজার খাবার স্যালাইনের চাহিদা দিলেও পেয়েছেন মাত্র ২শ টি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফেরদৌস ইসলাম খাবার স্যালাইন থাকলেও কলেরা স্যালাইন সংকটের কথা স্বীকার করে জানান, সারা দেশেই এ স্যালাইনের সংকট চলছে। তা দিয়েই আমরা রোগীর চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও জানান, প্রচন্ড গরম, দূষিত পানি পান এবং সচেতনতার অভাবে ডায়রিয়ার রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। এসময় তিনি সকলকে পানি ফুঁটিয়ে বিশুদ্ধ করে পান এবং চলমান মহামারী করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।