উপজেলা নির্বাচনে রিয়াজ, সিফাত ও নাসরিন বিজয়ী হওয়ায় টক অফ মঠবাড়িয়া
স্টাফ রিপোর্টার: ক্ষমতাসীন দলের নৌকা প্রতীক ও সহযোগী সংগঠনের তিন প্রভাবশালী প্রার্থীকে পরাজিত করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্যানেল। অভিজ্ঞ মহলের ধারণা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমানের জনপ্রিয়তার কারণে তাঁর সমর্থিত বিদ্রোহী প্রার্থীরা বিজয়ী লাভ করেন। এ বিজয় এখন টক অফ মঠবাড়িয়ায় পরিণত হয়েছে। ঈশ্বার্ণিত ব্যবধানে ক্ষমতাসীন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীরা পরাজিত হওয়ায় সরকারী, বেসরকারী দপ্তর, রাজনৈতিক সংগঠনের অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ চায়ের দোকান ও হোটেল রেস্তরায় এখন এ নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে। অনেকেই বলছেন সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করলে জনগণ তার প্রতিদান দেয়। জনগণের রায়কে কোন ভাবেই চাপা রাখা যায় না। অনেকেই আবার বলছেন আ’লীগের মত একটি বড় দলে ভাড়া করে প্রার্থী এনে বিজয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখাটাও দু:স্বপ্ন। বিজয়ী এ স্বতন্ত্র প্যানেলকে অভিনন্দন জানিয়ে সুখে দু:খে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে একটি সমৃদ্ধ মঠবাড়িয়া গড়ারও স্বপ্ন দেখছেন অনেকে।
মঙ্গলবারের সর্বকালের এ অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আ’লীগ সদস্য রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ (আনারস) ৪৭৬৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ’লীগ সমর্থিক নৌকা প্রতীকের হোসাইন মোশারেফ সাকু ২১৩৯৮ ভোট পেয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সিফাত (টিয়াপাখি) ৪৩৯০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শাকিল আহম্মেদ নওরোজ (চশমা) ২২৮৯৭ ভোট পেয়েছেন। সংরতি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এডভোকেট নাসরিন জাহান (কলস) ৪২০৪৪ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহিলা আ’লীগের নেত্রী মাকসুদা আকতার বেবী (ফুটবল) ২২০৩৮ ভোট পেয়েছেন।