আদালতে মামলা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যানের ফিলিং স্টেশনের একাংশ জমি দখলের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিরোধীয় জমিতে আদালতে মামলা চলমান থাকলেও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের দখলে থাকা হাওলাদার ফিলিং স্টেশনের জমি প্রকাশ্য দিবালোকে দখল করে নিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানের ফিলিং স্টেশনের প্রায় ৫ লাখ টাকার ব্যবসায়ীক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১নং তুষখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: শাহ জাহান হাওলাদার তুষখালী গ্রামের মৃত. মনিন্দ্রনাথ দেবনাথের পুত্র মৃনাল দেবনাথের কাছ থেকে ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ৩০ শতক ও অন্যান্য শরীকদের কাছ থেকে ৩৪ শতক জমি মোট ৬৪ শতক জমি ক্রয় করে হাওলাদার ফিলিং স্টেশন নামে চার বছর ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন। এতে মৃনালের ছোট ভাই বিভাষ দেবনাথ ওই জমিতে মালিকানা দাবী করে দীর্ঘদিন ধরে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরোধিতা করে আসছেন। বিভাষ এ জমির মালিকানা দাবী করে আদালতে ২০১৯ সালে মামলা দায়ের করলে সেই মামলাটি এখনও বিচারাধীন। বিচারাধীন মামলার চুড়ান্ত রায় না হলেও গতকাল শনিবার (১৩ আগষ্ট) দুপুরে প্রতিপক্ষ বিভাষ ও তার দলবল ইউপি চেয়ারম্যান মো: শাহ জাহান হাওলাদারের দখলে থাকা ফিলিং স্টেশনের একাংশ জমি পিলার পুতে তারকাটা দিয়ে বেড়া দিয়ে দখল করে নেয়।
ইউপি চেয়ারম্যান মো: শাহ জাহান হাওলাদার আরও অভিযোগ করেন- বিভাষ দেবনাথ ও তার লোকজন আমার অনুপস্থিতিতে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জমি তারকাটা দিয়ে বেড়া দিয়ে দখল করে নেয়া ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ সম্মুখে ফলদ বাগানের ব্যপক ক্ষতি সাধন করে।
প্রতিপক্ষ বিভাষ দেবনাথ জমি দখলের কথা স্বীকার করে বলেন- ওই ফিলিং স্টেশনে আমার নিজের চার শতক জমি আছে। এ নিয়ে আদালতে আমার দায়ের করা মামলাও বিচারাধীন। চেয়ারম্যান ফয়সালার নাম করে গত চার বছর ধরে জমির ফয়সালা দিচ্ছে না। যে কারণে আমি তারকাটা দিয়ে বেড়া দিয়ে জমি দখল নিয়েছি।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহা. নুরুল ইসলাম বাদল জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।