অভিজ্ঞতা পত্র জাল করে মাদ্রাসা সুপার নিয়োগের অভিযোগ!
স্টাফ রিপোর্টার: মঠবাড়িয়ায় কাকড়াবুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার এক কম্পিউটার শিক্ষকের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে ভূয়া অভিজ্ঞতাপত্র দিয়ে উপজেলার ছালেহিয়া পশ্চিম ছোটমাছুয়া দাখিল মাদ্রাসায় সুপার পদে নিয়োগের অভিযোগ ওঠেছে। সুপার পদে নিয়োগ পেয়ে ওই শিক্ষক সরকারের কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে ওই অভিযোগে বলা হয়। এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া টিকিকাটা আঃ ওহাব মহিলা আলিম মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী আঃ হালিম জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সুপার নিয়োগ নিয়ে সরকারী টাকা অত্মসাতের অভিযোগ এনে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- উপজেলার কাকড়াবুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার কম্পিউটার শিক্ষক মনিরুল ইসলাম যার (ইনডেক্স নং- ৪৭২৩৫৩) বিগত ০৪/১২/১৯৯৬ইং তারিখ কম্পিউটার শিক্ষক পদে নিয়োগ লাভ করে। ওই পদে কর্মরত থাকাকালীন মনিরুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও কাকড়াবুনিয়া মাদ্রাসা সুপার নুরুজ্জামানের সহযোগিতায় বিধি বহির্ভূত ভাবে জালিয়াতি করে সহকারী মৌলভীর ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদ তৈরী করে। ওই জাল সনদ দিয়ে গত ০১/০৫/১৪ তারিখ উপজেলার ছালেহিয়া পশ্চিম ছোটমাছুয়া দাখিল মাদ্রাসায় সুপারের শূন্যপদে নিয়োগ নেয়। সংশ্লিষ্ট কাকড়াবুনিয়া দাখিল মাদ্রাসায় তিনজন সহকারী মৌলভী কর্মরত থাকায় কম্পিউটার শিক্ষক মনিরুলকে সহকারী মৌলভী হিসেবে নিয়োগ দেয়ার সুযোগ না থাকলেও নিয়ম বহির্ভূতভাবে ওই অভিজ্ঞতা পত্র নিয়ে সে মাদ্রাসার সুপার পদে যোগদান করেন। ছালেহিয়া পশ্চিম ছোট মাছুয়া দাখিল মাদ্রাসায় সুপার পদে নিয়োগ নিয়ে মনিরুল ইসলাম গত ছয় বছরে সরকারের কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কাকড়াবুনিয়া মাদ্রাসার সুপার মো: নুরুজ্জামান শিক্ষক মনিরুল ইসলামকে সহকারী মৌলভী জাল সনদ দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছালেহিয়া পশ্চিম ছোট মাছুয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মনিরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার বলেন- আমার প্রতিপক্ষ সহকারী মৌলভী আঃ হালিমসহ ৪জন শিক্ষক একই অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করলেও আাদালত তা ডিসমিস করে দেয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিএম সরফরাজ অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।