অবসরপ্রাপ্ত আরএমও ডা. কামরুল আহ্সানকে নিয়ে কুচক্রী মহলের গুজব
স্টাফ রিপোর্টার: মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবসরপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কামরুল আহসান মানিকের চিকিৎসা পেশাকে ব্যহত করতে একটি কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন ধরে কুৎসা, অপপ্রচারসহ গুজব ছড়াচ্ছে। সম্প্রতি তার পরিবারের এক সদস্য নভেল করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত এক গুজব ছড়ালে সাবেক উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. কামরুল আহসান ও তার পরিবার পরিজন বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে।
একসময়ের মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার মান উন্নয়নে অগ্রণী ভুমিকা পালন করা, অসহায় দুস্থ রোগীদের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আলহাজ্ব ডা. মো: কামরুল আহ্সান মানিক অতীতেই সুনাম কুড়িয়েছিলেন। আর এ সুনাম খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পার্শ্ববর্তী বামনা, পাথরঘাটা, ভান্ডারিয়া উপজেলা গুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।
চিকিৎসা সেবার তার এই খ্যাতি, সুনাম ও যশ কে কলঙ্কিত করার জন্য ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের কতিপয় অসাধু চক্র দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ষড়যন্ত্র বারবার ব্যর্থ হওয়ার পর অবশেষে তার পরিবারের এক সদস্য প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের গুজব ছড়ায়। যাতে সাধারণ মানুষ ও রোগীরা ওই চিকিৎসকের কাছ থেকে দুরে সরে যায়।
এদিকে, ডা. কামরুল আহসান মানিক গুজব ছড়িয়ে তার পরিবারকে বিব্রত করায় সম্প্রতি স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকের কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় করেন। ওই মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, আমার একমাত্র ছেলে মো: আহ্সান মামুন জিতু হার্ট এট্যাক করলে স্ব-পরিবারসহ ছেলের চিকিৎসার জন্য আমরা ঢাকা যাই। গত ৮ ই মার্চ ঢাকা ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শে মামুনের হার্টে রিং পরানো হয়। বর্তমানে সুস্থ হয়ে এলাকায় ফেরার পরে ছেলের এবং আমার পরিবারের সদস্যদের নাম নিয়ে একটি কুচক্রী মহল করোনায় আক্রান্তের গুজব ছড়ায়। তিনি এ গুজবের জন্য পৌরশহরের ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের কতিপয় কর্মচারীকে দায়ী করেন। যারা এর আগেও আমার ও পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের কুৎসা রটিয়ে হেয় করার চেষ্টা করেছিল। এ ধরনের অপপ্রচার ও গুজব কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।