লিটন হত্যা মামলায় আ’লীগ সভাপতিকে অব্যহতি ॥ যুবলীগ সভাপতিসহ ১৭জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

স্টাফ রিপোর্টার: পৌর শহরের ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি চাঞ্চল্যকর লিটন পন্ডিত হত্যা মামলায় পিরোজপুর সিআইডি পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্র সোমবার গ্রহণ করেছে বিজ্ঞ আদালত। ওই অভিযোগপত্রে মামলার প্রধান আসামী উপজেলা আ’লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌসকে অব্যহতি দিয়ে আরো তিন জনকে অন্তভূক্ত করে মোট ১৭জন আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে এ চার্জশীট দেয়া হয়েছে। মামলার শুনানী চলাকালে কালে আদালতের এজলাসে উপস্থিত থাকা এ হত্যা মামলার বাদী জাকির পন্ডিত লতিফ ঘরামী হত্যা মামলার এজাহার ভূক্ত আসামী থাকায় তাকে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট শোন এ্যারেষ্ট দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
আদলত সূত্রে জানাযায়, ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই আ’লীগের বিবদমান দুই গ্রুপের আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পৌর শহরের সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমানের অনুসারী যুবলীগ নেতা লিটন পন্ডিত সংঘর্ষের সময় ছোড়া গুলিতে নিহত হয়। ঘটনার পরের দিন নিহতের বড় ভাই জাকির পন্ডিত বাদী হয়ে ২৬ জুলাই উপজেলা আ’লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়রসহ ১৫জনকে এজাহার নামিয় ও আরও অজ্ঞাতনামা আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলাটি মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাজহারুল আমিন বিপিএম ও থানা সাব ইন্সপেক্টর মাহাবুবুর রহমান দীর্ঘ দিন তদন্ত শেষে পিরোজপুরের সিআইডি পুলিশ মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেন। পরে সিআইডি পুলিশের এসআই বিউটি আক্তার তদন্ত শেষে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে উপজেলা আ.লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌসকে বাদ দিয়ে যুবলীগ সভাপতি শাকিল আহম্মেদ নওরোজ, সাবেক কাউন্সিলর মিজানুর রহমান ও দলিল লেখক নাসির উদ্দিনকে অন্তভূক্ত করে ১৭ জনকে অভিযুক্ত করে গত ২জুলাই চার্জশীট দাখিল করেন। মামলার বাদী ওই চার্জশীটের বিরুদ্ধে গত ১৯ আগস্ট সময় চেয়ে আবেদন করেন এবং ওই চার্জশীট এ নারাজী দিলে আদালত জবানবন্দি গ্রহণ করে ৩ সেপ্টেম্বর শুনানীর দিন ধার্য্য করেন। অভিযুক্ত অন্যরা হলো- বড়মাছুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো: নাছির উদ্দিন, আবুল কালাম মোল্লা, বাবু শরীফ, নাফিজ উদ্দিন ফরিদ, হেমায়েত উদ্দিন, মো: নজরুল ইসলাম, মিজান ফরাজী, মো: নাজমুল হাসান, মো: জয়নাল আবেদীন, শহিদুল হক, বেল্লাল হোসেন, মো: কামরুজ্জামান, মো: জুনায়েদুর রহমান জুয়েল, মো: ফয়সাল আহসান প্রমুখ।
Comments
আরও পড়ুন





