মুক্তমত: একজন মাশরাফী আমি এবং আমরা
রুবেল মিয়া নাহিদ: মাশরাফি বিন মর্তুজা কৌশিক, এই নামটাই একটা আলাদা অনুভূতি, আলাদা আবেগ। প্রজন্মের শ্রেষ্ঠ মানুষ। কী করে একজন সকলের আবেগ ও ভালবাসার মানুষে পরিণত হয়, তার জীবন্ত উদাহরণ তিনি। কিন্তু পথ কি এত সহজ ছিল? উত্তর সবারই জানা। দেশপ্রেমের অনবদ্য শক্তি লালিত হয় তার দেহে! ক্যারিয়ারে ১১ বার চোটের কারণে দলের বাইরে যেতে হয়েছে মাশরাফিকে, ছিনিয়ে নিয়েছিল নিজের দেশের মাটিতে ২০১১ বিশ্বকাপও। চোটের কারণে অপারেশন টেবিলে তাকে যেতে হয়েছে সাতবার।
২০০৯ এ বিদায় জানান টেষ্টকে। ২০১৭তে টি-২০কে। একটা সময় পর হয়তো জাতীয় দলকেও বিদায় জানাবেন মাশরাফি। তবে তার অবদান বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে। জীবনের যেকোন পর্যায়ে সংগ্রামরত মানুষের জন্য মাশরাফি একটা প্রেরণা, নিশ্চিত এই ব্যাপারে আমি। আমরা ছোট বেলায় রবার্ট ব্রুস আর মাকড়সার গল্প শুনেছি, কিন্তু হার না মানা, হাল না ছাড়ার কথাই যদি বলি তাহলে মাশরাফির ফিরে আসার গল্পগুলো কম কিসে? একজন সাধারণ ক্রিকেটভক্ত এবং মাশরাফির ফ্যান হিসেবে আমি চাই মাশরাফি যতদিন খেলবেন যেন ইনজুরি মুক্ত হয়েই খেলতে পারেন। আর দেশের প্রতি তার অবদানের কথা যেন কেউ ভুলে না যায়। ক্রিকেটের অফুরন্ত প্রাণশক্তির আধার, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জলোচ্ছ্বাস, একটি অবিরাম গ্রোত ধারা সময়ের পরতে পরতে আরো এগিয়ে যাক বাংলাদেশের ক্রিকেট মাশরাফি ভাইয়ের নেতৃত্বে। ২০১৯ বিশ্বকাপের জন্য রইলো শুভ কামনা।
Comments
আরও পড়ুন





