মাদ্রাসা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা ॥ ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন।
স্টাফ রিপোর্টার : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শেখ ফজিলাতুননেছা সিনিয়র মাদ্রাসার নবম শ্রেণী ছাত্রী (১৪) কে দুই বখাটে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গণধর্ষণ হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ মেয়েটিকে তার নানীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনা স্থল থেকে ধর্ষণের ধারণকৃত ভিডিও চিত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর নানী আনোরা বেগম বাদী হয়ে দুই ধর্ষকের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত ধর্ষক রুম্মান পঞ্চায়েত (২৫) বাদুরা গ্রামের ইউনুচ পঞ্চায়েত ও পান্না পঞ্চায়েত (৩৫) একই বংশের ফারুক পঞ্চায়েতের ছেলে। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছে। বখাটেরা দু’জনই ভাড়ায় চালিত মটরসাইকেল চালক। শুক্রবার রাতে অসুস্থ্য ওই ছাত্রীকে পিরোজপুর সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
থানা সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রীর বাবা হাফিজুর দ্বিতীয় বিয়ে করায় ছাত্রীর মায়ের সাথে ছাড়াছাড়ি হয়। পরে ওই ছাত্রী মা বিধবা মা আনোরা বেগমের কাছে রেখে সৌদি আরব চলে যায়। গত কয়েক মাস ধরে ওই ছাত্রীকে মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে ওই দুই বখাটে উত্ত্যাক্ত করে আসছিল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই দুই ধর্ষক সু-কৌশলে ঘরের দরজা খুলে ওই ছাত্রীর মুখ বেঁধে বাড়ির পিছনের বাগানে নিয়ে অ¯্ররে ভয় দেখিয়ে পালা ক্রমে ধর্ষণ করে। রাত আড়াইটার দিকে নানী ওই ছাত্রীকে না পেয়ে চিৎকার করলে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় বাগান থেকে ওই রাতেই তাকে অসুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করে। এসময় প্রতিবেশী একই বংশের আলমগীর পঞ্চায়েতের ছেলে সাদেক ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে ইন্টার নেটের মাধ্যমে মোবাইলে ছড়িয়ে দেয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মঠবাড়িয়া থানা ইন্সেক্টর (তদন্ত) মাজাহারুল আমীন (বিপি,এম) জানান, ওই ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেলা হাসপাতাল হতে সিভিল সার্জনের কার্যালয় পাঠানো হয়। তিনি আরও জানান, ধর্ষকদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
Comments
আরও পড়ুন





