মঠবাড়িয়ায় স্ত্রীর মর্যাদা না দেয়ায় গৃহবধূর আত্মহত্যা ॥ কথিত স্বামীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
স্টাফ রিপোর্টার ঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জাহানারা আক্তার সাথী (৩০) নামের এক গৃহবধূ প্রেমিক স্বামী জামাল ও তার পরিবারের স্ত্রীর মর্যাদা না দেয়ায় ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সোমবার (১১ মার্চ) রাতে পুলিশ উপজেলার আঙ্গুলকাট গ্রামের কথিত স্বামী জামালের বাড়ীর পরিত্যাক্ত টিনের ঘর থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে মঙ্গলবার সকালে পিরোজপুর জেলা মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হাওলাদার বাদী হয়ে প্রেমিক জামাল ও তার মা ফরিদা বেগমসহ ৫জনকে আসামী করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছে। জামাল ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
থানা সূত্রে জানাযায়- উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের মেয়ে সাথীর সাথে ২০ বছর পূর্বে প্রতিবেশী আজাহার আলীর পুত্র ডালিমের পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয়। এ দম্পত্তির ৩টি সন্তানও রয়েছে। ১ম স্বামীর সাথে সাথীর দীর্ঘদিন মনোমালিন্য হওয়ায় পৌরশহরের হোটেলে ঝিয়ের কাজ নেয়। হোটেলে কাজ করতে গিয়ে গৃহকর্মী সাথীর সাথে গত দুই বছর আগে শহরের ভাই ভাই হোটেলের শ্রমিক জামালের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর মধ্যে গত কয়েক দিন আগে জনৈক হুজুরের মাধ্যমে কাবিন ছাড়া বিয়ে হয় এবং শহরে ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রীর মত বসবাস করতে থাকে। রোববার দুজনের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মনোমলিন্য হলে শহরের বাসা ছেড়ে গ্রামের বাড়ি আঙ্গুলকাটায় যায়। সাথীকে স্ত্রী হিসেবে মেনে না নিয়ে অন্যত্র চলে যা বা গলায় দড়ি দিয়ে মর বলিয়া স্বামী ও শাশুড়ি মিলে তাড়িয়ে দেয়। পরের দিন সোমবার দুপুরে সাথী জামালের বাড়িতে গিয়ে আবারও স্ত্রীর মর্যাদা দাবী করলে কোন পাত্তা না দেয়ায় সকলের অগোচরে স্বামীর বাড়ীরর একটি পরিত্যাক্ত ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
মঠবাড়িয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমআর শওকত আনোযার ইসলাম এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে এবং লাশের ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
Comments
আরও পড়ুন





