মঠবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

মঠবাড়িয়া সংবাদ ডেস্ক: মঠবাড়িয়া পৌরশহরের হাতেম আলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় জাতীয়করণের তালিকা ভূক্ত হওয়ায় শহরের অপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে এম লতীফ ইনস্টিটিউশন সরকারকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় বাদী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান সরকারীকরনের তালিকা ভূক্ত হাতেম আলী বালিকা বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা খান সাহেব হাতেম আলী জমাদ্দারকে একজন স্বাধীনতা বিরোধী চিহ্নিত করায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের (মামলার বাদী) অপসারন ও মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বৃহস্পতিবার সকালে শহীদ মিনার সম্মূখ সড়ক অবরোধ করে দুই ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ উপজেলা কমান্ডের উদ্যোগে এ মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়।
শেষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বাচ্চু মিয়া আকন এর সভাপাতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক সাংসদ ও পিরোজপুর জেলা আ’লীগ সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, পৌর আ’লীগে সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন, আ’লীগের সহ-সভাপতি ও হাতেম আলী বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি আরিফ-উল-হক, মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান, কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ইকতিয়ার হোসেন পান্না, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতীফ সিকদার, শিক্ষকা খাদিজা বেগম খুশবু, উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি নেতা আ ম ইউসুফুজ্জামান আকন, প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবদুস সালাম আজাদী, জাতীয় পার্টির সভাপতি নাজমুল আহসান কবির, আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন খান, বনিক সমিতির সভাপতি শামসুল আলম, ব্যবসায়ী আলহাজ্জ্ব আফজাল হোসেন জমাদ্দার, রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আহসান, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন আল আজাদ, আকন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি সাবেক সাংসদ ডা. আনোয়ার হোসেন বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংখ্যালঘু ও মুক্তিযোদ্ধাদের আ¯্রয়সহ বিভিন্ন সহযোগীতাকারী মরহুম হাতেম আলী খান সাহেবকে বিতর্কিত করে মামলা দায়ের করার তীর্ব প্রতিবাদ জানান। দ্রুত মামলা প্রত্যাহার করে কেএম লতীফের প্রধান শিক্ষকের সাধারন জনগনের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।
সমাবেশের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বাচ্চু মিয়া আকন সমাপনী বক্তব্যে বলেন, কে এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের দায়ের করা মামলা ১৫ দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষনা দেন।
Comments
আরও পড়ুন





