মঠবাড়িয়ায় কিশোর বাবুর মালয়েশিয়া যাওয়া হল না: মারধর করায় অভিমানে আত্মহত্যা ॥ তিন যুবক গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্ট : মঠবাড়িয়ায় বলেশ্বর নদ তীরবর্তী খেতাচিড়া গ্রামের কিশোর আরিফুল ইসলাম বাবুর (১৭) আর মালয়েশিয়া যাওয়া হল না। মাদ্রাসা ছাত্রী বেয়াইনকে বাবু মোবাইল সেট দেয়ার সময় কথা বলায় স্থানীয় কতিপয় যুবক এ অপরাধে তাকে মারধর করে। পরে আহত ওই কিশোর লজ্জা ও অভিমানে মঙ্গলবার বিকেলে চালের পোকা নিধন ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে। আরিফ উপজেলার খেতাচিড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে নিহতের মা মমতাজ বেগম মঠবাড়িয়া থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ এ আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে উপজেলার ঝাটিবুনিয়া গ্রামের মুনসুর আলীর পুত্র মাইনুল (২২) একই গ্রামের আবু হানিফের পুত্র ইউসুফ (৩০) ও সাপলেজা গ্রামের মৃত. অমল চন্দ্র বিশ্বাসের পুত্র মলয় বিশ্বাস (২৪) কে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের বুধবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কিশোর বাবু মঙ্গলবার সকালে খেতাচিড়া গ্রামের বাড়ী হতে ঝাটিবুনিয়া গ্রামে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে মাদ্রাসার ছাত্রী মাকসুদা (১৩) কে মোবাইল ফোন উপহার দিতে চাইলে ওই ছাত্রী পরে নিবে বলে জানিয়ে সে বার্ষিক পরীক্ষার জন্য মাদ্রাসায় চলে যায়। এ বিষয়টি স্থানীয় জহির, মাছুম ও মাইনুলসহ ১০/১১জন যুবক দেখে ফেলে। ওই ছাত্রীর সাথে কথা বলার অপরাধে কিশোরকে আটক করে বেধরক মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে স্থানীয় মাসুম দফাদারের কাছে হস্তান্তর করে। পরে মাসুম আহত কিশোরের খালা হেমতাজের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ওই খালার বাড়িতে বসে অভিমান করে চালের পোকা নিধন ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে খালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পর তার অবস্থার অবনতি ঘটলে দ্রুত বরিশাল শেবাচিমে নেয়ার পথে মারা যায়।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম তারিকুল ইসলাম জানান, ওই কিশোরকে মারধর ও আত্মহত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে বাবুর লাশের ময়না তদন্ত শেষে বুধবার সন্ধ্যায় খেতাচিড়া গ্রামের তার বোনের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে। এসময় সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে।
Comments
আরও পড়ুন





