ভুয়া পরীক্ষার্থী আটকের ঘটনায় অধ্যক্ষ খলিলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আলিম পরীক্ষার প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৬ ভুয়া পরীক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ওই কেন্দ্র সচিব মোঃ আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলাটি করেন। এদিকে পুলিশ আটক ৬জন ভূয়া পরীক্ষার্থীকে শুক্রবার সকালে আদালতে সোপর্দ করেছে। বিষয়টি থানা পুলিশ নিশ্চিত করেছেন।
পরীক্ষা কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়- বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কামিল মাদ্রাসা ভূয়া পরীক্ষার্থীর খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির আহমেদ (অতিরিক্ত) কে অবহিত করে। ইউএনওর নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট শাখাওয়াত জামিল সৈকত কেন্দ্রে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেলে তাদের ৬জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এসময় ওই কেন্দ্রের অন্য কক্ষের অপর ৬জন পরীক্ষার্থী পালিয়ে যায়।
আটককৃত ওই ভুয়া পরীক্ষার্থীরা তাফালবাড়িয়া হাছানিয়া আলিম মাদ্রাসার ভুয়া পরীক্ষার্থী সেজে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। অভিযোগ রয়েছে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী না থাকায় এমপিও চালু রাখতে অসদুপায় অবলম্বন করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা খলিলুর রহমান।
ভুয়া পরীক্ষার্থীর অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃতরা হল উপজেলার খেঁতাছিড়া গ্রামের ইয়াছিনের পুত্র মোঃ তোহা, মঠবাড়িয়া সদরের জাহাঙ্গীরের পুত্র মোঃ আরাফাত, তাফালবাড়িয়া গ্রামের ইউসুফ আলীর পুত্র মোঃ সানাউল্লাহ, ওই একই গ্রামের বাদশা মিয়ার পুত্র নাঈম, নলী গ্রামের জাকির হোসেনের পুত্র হাসিব এবং তাফালবাড়িয়া গ্রামের আবু তাহের।
গ্রেপ্তারকৃতদের বক্তব্য, তাফালবাড়িয়া হাছানিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ খলিলুর রহমানের প্রলোভনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে তারা বাধ্য হয়। আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আসা ভুয়া পরীক্ষার্থীরা ২০২১ সালের দাখিল পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করেছিল বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
ভুয়া পরীক্ষার্থীদের সনাক্ত ও আটকের সময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শাখাওয়াত জামিল সৈকতের সাথে কেন্দ্র সচিব ও দাউদখালী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাঃ নূরুল ইসলাম বাদল মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার এজাহার নামীয় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। বাকী আসামীদের শুক্রবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন- অভিযোগ পেয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভূয়া পরীক্ষার্থী আটক করা হয়। আটকদের বহিস্কারসহ অধ্যক্ষসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্র সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়।
Comments
আরও পড়ুন





