ভুয়া চক্ষু চিকিৎসককে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড

স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরশহরের ভুয়া চক্ষু বিশেষজ্ঞ পরিচয় দিয়ে চোঁখের চিকিৎসা করার অপরাধে মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দুপুরে পলাশ কান্তি সাহা (৪০) নামের ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেছে থানা পুলিশ। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ঊর্মি ভৌমিকের ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করলে দোষ স্বীকার ও চিকিৎসা করার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ওই চিকিৎসককে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। দন্ডিত পলাশ কান্তি সাহা পিরোজপুর পৌরশহরের ডুমুরতলা এলাকার বাসিন্দা হরিদাস সাহার পুত্র।
আদালত সূত্রে জানা যায়, পলাশ কান্তি সাহা মঠবাড়িয়া পৌরশহরের নুর আলম আবাসিক বোর্ডিংয়ের একটি কক্ষে পিরোজপুর জেনারেল ও চক্ষু হাসপাতালের প্যাড ব্যবহার করে নিজেকে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চক্ষু চিকিৎসা করে আসছিলেন। মঙ্গলবার সকালে টিএন্ডটি রোডের আবু বক্কর সিদ্দিক সোহেল নামের ব্যবসায়ীর স্ত্রী তানজিলা আক্তার (২২) চোখের চিকিৎসার জন্য ওই ডাক্তারের কাছে যায়। এসময় ওই রোগী তার চিকিৎসা ও ঔষধপত্র দেখে গৃহবধুর সন্দেহ হলে ডিজিএফআই ও স্থানীয় সংবাদকর্মীদের অবহিত করেন। বিষয়টি তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত জানায়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি ভৌমিকের নেতৃত্বে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ভুয়া চিকিৎসককে আটক করে। এসময় পুলিশ পিরোজপুর চক্ষু হাসপাতালের প্যাড ও ওই হাসপাতালের স্লিপ বই, চোখের পাওয়ার কাউন্ট করার লেমিনেটিং করা দুই পাতা বিশিষ্ট বই, একটি পুরাতন প্রাকটিসের চায়না টর্চলাইট, একটি মিনি চোখের পাওয়ার পরীক্ষার ফ্রেম, গ্লাসসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্ধ করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ঊর্মি ভৌমিক জানান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫৩ ধারার অপরাধ করায় ওই ভুয়া ডাক্তার পরিচয়দানকারীর বিরুদ্ধে এ দন্ড দেয়া হয়। তিনি আরও বলেন, ভুয়া ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসার নামে জনগণ প্রতারিত হচ্ছে এ ধরনের অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Comments
আরও পড়ুন





