বলেশ্বর নদীতে কোষ্টগার্ডের ওপর জেলেদের হামলা ॥ ১শ ৫ জেলের বিরুদ্ধে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বলেশ্বর নদীতে টহলরত কোষ্টগার্ডের ওপর জেলেদের হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাংলাদেশ কোষ্টগার্ড ষ্টেশন কমান্ডার ভান্ডারিয়ার কন্টিজেন্ট কমান্ডার এম মোস্তাক আহমেদ (পিও) বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে এজাহার নামীয় ২৫ ও অজ্ঞাত ৭০/৮০ জেলেকে আসামী করে সরকারী কাজে বাধা, মারধর ও লুটের অভিযোগ এনে এ মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ ওই মামলার এজাহার নামীয় আসামী উপজেলার বড়মাছুয়া গ্রামের রুহুল আমিনের পুত্র বশির হাওলাদার (২০) ও প্রতিবেশী চর ভোলমারা গ্রামের আব্দুল মালেকের পুত্র কবির খাঁ (২২) কে গ্রেফতার করে শুক্রবার সকালে আদালতে সোপর্দ করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ এপ্রিল উপজেলার বড়মাছুয়া সংলগ্ন বলেশ্বর নদীতে সরকারী বোট ও ভাড়া করা ট্রলার নিয়ে কোষ্টগার্ডের একটি দল নিয়মিত টহলে বের হয়। ঘটনার দিন বুধবার সকালে স্থানীয় বড়মাছুয়া লঞ্চঘাট এলাকায় পৌছালে নদীতে প্রায় শতাধিক নিষিদ্ধ ঘোষিত ছোট ফাঁসের অবৈধ বেহেন্দী ও কারেন্ট জাল দেখতে পায়। কোষ্টগার্ড সদস্যরা ওই অবৈধ জাল আটক করতে গেলে জেলেরা কোষ্টগার্ড সদস্যদের বাঁধা দেয়। এক পর্যায় জেলেরা পাঁচটি ট্রলার যোগে ৮০/৯০ জনের একটি দল তাদের ওপর দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে কোষ্টগার্ডের বেসামরিক মাঝি মাছুম হাওলাদর (৩৫), মোঃ সোহেল (২৭) ও মোঃ মাকসুদ (২৮) গুরুতর আহত হয়। এসময় বশির, কবির, পিন্টু, ফারুক তালুকারের নেতৃত্বে একদল জেলেরা সরকারি মালামাল বহনকারী ট্রলারটিকে ভাংচুর ও মালামাল লুট করে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত তিন মাঝিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই দিন রাতে তাদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করেন। কোষ্টগার্ডের সদস্যরা বশির ও কবিরকে আটক করে ওই রাতেই থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
মামলার এজাহার নামীয় আসামী জেলে আড়ৎদার ফারুক তালুকদার বলেন, তিনি ওইদিন ঘটনাস্থলেই ছিলেন না। তিনি আরও অভিযোগ করেন, কোষ্টগার্ডের নিয়োজিত মাঝিদের মাসিক চাঁদা না দেয়ায় তাকে এই মামলায় আসামী করা হয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আব্দুল্লাহ্ জানান, এ ঘটানায় জড়িত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের ব্যপারে তদন্ত করে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
Comments
আরও পড়ুন





