বরিশালের প্যাথলজির ছাত্রী সাদিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামী মঠবাড়িয়ার সিরাজুলের মৃত্যু ঃ পরিবারের অভিযোগ পুলিশী নির্যাতনের

মঠবাড়িয়া সংবাদ ডেস্ক ঃ মোবাইলে প্রেমে পড়ে ঘর বাঁধার আশায় সরল বিশ্বাসে বরিশাল ইনষ্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি প্যাথলজি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্রী সাদিয়া আক্তার (২১) গত ১৯ নভেম্বর-১৭ ছুটে এসেছিলে বলেশ্বর নদ তীরবর্তী মঠবাড়িয়ার খেজুরবাড়িয়া গ্রামে প্রেমিক সিরাজুলের বাড়িতে।কিন্তু বখাটে প্রতারক সিরাজুল(২৫) বাড়িতে না উঠিয়ে নদের খেজুর বাড়িয়া বেরী বাঁধে নিয়ে বন্ধুদের নিয়ে পর্যায়ক্রমে প্রেমিকা সাদিয়াকে অধিকরাত পর্যন্ত ধর্ষণ করে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে লাশ নদের কচুরিপানার মধ্যে ফেলে দেয়।এখন পর্যন্ত গত ২১ দিনেও সাদিয়ার লাশের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। এ ব্যপারে ররিশাল কোতয়ালী থানায় ছাত্রীর বাবা আলমগীর খানের দায়ের করা হত্যা মামলার প্রধান আসামী সিরাজুল ইসলাম (২৫) এর মৃত্যু হয়েছে।শুক্রবার রাতে বরিশাল জেল হাজতে অসুস্ত হবার পর ৯ ডিসেম্বর শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। সিরাজুল ইসলাম পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া গ্রামের ইব্রাহীম হাওলাদার ওরফে এনায়েতের ছেলে।
জানা গেছে, গত ২ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় সিরাজুলকে বরিশাল কোতোয়ালী থানার এসআই আব্দুল ওহাব উপজেলার বড়মাছুয়া বাজার থেকে গ্রেফতার করেন। এরপর পুলিশ সাদিয়া সম্পর্কে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সিরাজুলকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদলত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিকে গত ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার সিরাজুল জেল হাজতে অসুস্থ্য হয়ে পরলে তাকে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রবিবার তার মৃত্যু হয়।
সিরাজুলের মৃত্যুর বিষয়টি মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম তারিকুল ইসলাম নিশ্চিত করে জানান, বরিশাল কোতোয়ালী থানা থেকে মঠবাড়িয়া থানায় সিরাজুলের মৃত্যুর বিষয় বার্তা পাঠিয়েছে। আমরা সিরাজুলের পরিবারকে মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছি।মঠবাড়িয়া থানার এএসআই মোঃ ইউসুফ জানান-মৃতুর খবর পেয়ে রোববার বিকেলে নিহতের ভগ্নিপতি দ: বড়মাছুযা জামে মসজিদের ইমাম মাহমুদ খান ও স্থানীয় চৌকিদার শিমুল চন্দ্র মন্ডল লাশ গ্রহন করার জন্য বরিশাল গেছেন । বোন জামাই মাহমুদ জানান-প্রথম স্ত্রী সিরাজ কে ডিভোর্স দেয়ার পর গত ৪মাস আগে পাশবর্তী মানিকখালী গ্রামের মজিবুর রহমানের কন্যা মিনা(১৫) বিয়ে করে।ওই স্ত্রী ও সৎ মা মোমেনা কৃষক বাবা ইব্রাহীমকে নিয়ে সিরাজ বাড়িতে থাকেন।মা তহমিনা ২০০৫ মারা যাওয়ার পর সিরাজ বখাটে হয়ে যায়। সিরাজ ২ভাই ও ২ বোনের মধ্যে ৩য়।সিরাজের স্ত্রী মিনা এসব বিষয় কিছুই জানেনা বলে জানায়।নিহতের ছোট বোন মাকসুদা(২১) অভিযোগ করেন –তার ভাইয়ের বরিশাল পুলিশের অমানুষিক নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন তার ভাই অপরাধ করেছে-এজন্য দেশের আইন আদালত আছে । আদালতেই তার বিচার হত । কিন্তু পুলিশ যে নির্যাতন করে ভাইকে মেরে ফেলেছে তার বিচার চান।এদিকে পুত্র সিরাজ পুলিশের হাতে আটকের পর বাবা ইব্রাহীম গাঁ ডাকা দিয়েছেন।
Comments
আরও পড়ুন





