ফুলেল ভালবাসায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা সংবর্ধিত হলেন

স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার সাবেক এমএনএ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ সওগাতুল আলম ছগীর এর নামে প্রতিষ্ঠিত ছগীর মোমোরিয়াল মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সময়ে অবসরে যাওয়া ৩জন প্রধান শিক্ষক, ৫জন সহকারী শিক্ষক ও একজন কর্মচারীকে বিদায়ী সংবর্ধণা দেয়া হয়েছে। একই সময় এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ+ ও জিপিএ-৫ পাওয়া ৬জন কৃতি শিক্ষার্থীকেও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকালে মিয়া গুলিশাখালী ছগীর মোমোরিয়াল মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গন মাঠে এক বর্ণ্যাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। অত্যন্ত প্রত্যন্ত স্কুলটিকে রং বেরংয়ের বেলুন, ফেষ্টুন, ব্যানারসহ নানা রঙে সাজানো হয়।
এসময় বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ১০নং হলতা গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনোর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- টিয়ারখালী মজিদ মোমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক এমএ ওহাব, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারেফ হোসেন, ওই বিদ্যালয়ের অবসরপাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার মাহমুদ, সদ্য অবসরে যাওয়া প্রধান শিক্ষক অপরানন্দ কির্ত্তুনীয়া, অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক মোঃ হারুন অর রশিদ, অমূল্য রতন হাওলাদার, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্যামলেন্দু মিত্র, সিনিয়র শিক্ষিকা ইসরাত জাহান রশ্মি, প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজু, ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি রফিকুল আলম বাদল, সমাজ সেবিকা মীরা কিবরিয়া, শিক্ষার্থী ইসরা আলম ও তানিসা বিনতে তৌহিদ প্রমুখ। সংবর্ধিত অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন- বিগত ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারী আমি এ বিদ্যালয় হতে অবসরে যাই। এ দিনটির জন্য আমি অপেক্ষায় ছিলাম। মরে গেলেও এখন আমার আত্মা শান্তি পাবে।
পরে আয়োজক কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পুলিন বিহারী মিত্র (মরনোত্তর), আনোয়ার হোসেন, অপরানন্দ কির্ত্তুনীয়া ও অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ, অমূল্য রতন হাওলাদার, মোঃ আনোয়ার হোসেন (মরনোত্তর), নুর মোহাম্দ তালুকদার, লুচি রানী হালদার ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী আলেয়া বেগমকে সম্মামনা স্মারক ও বিশেষ উপহার প্রদান করা হয়। এসময় এএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়া মেধাবী শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান মুক্তা (বিজ্ঞান) ও জিপিএ-৫ পাওয়া সাদিয়া আফরিন (বিজ্ঞান), শাহরিন শিলা (মানবিক), জিনিয়া আনজুম জেমি, জান্নাত হোসেন লিজা ও সুমি আক্তারকে ক্রেষ্ট ও বিশেষ উপহার দেয়া হয়। সংবর্ধিত জিপিএ-৫ পাওয়া শাহরিন শিলা বলেন- আমি দরিদ্র ঘরের সন্তান। বাবা শহিদুল ইসলাম গত পাঁচ বছর ধরে প্যারালাইসিসে শয্যাশায়ী। বড় বোনের প্রাইভেটের অর্থ ও শিক্ষকদের সহযোগীয় অদম্য মনোবলের কারণে আমার ভাল ফলাফল। আজকের এ ভালবাসায় আমার আগামী দিনের উচ্চ শিক্ষায় অনুপ্রেরণা যোগাবে। এ আয়োজনের জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।
অনুষ্ঠানে, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।
Comments
আরও পড়ুন





