প্রেমে প্রত্যাখ্যাতে কলেজ ছাত্রীকে জখমের ঘটনায় থানায় মামলা

স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় কলেজ ছাত্রী নুসরাত জাহান স্বর্ণা (১৭) কে ব্লেড দিয়ে জখম করার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আহত কলেজ ছাত্রীর নানা মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আবদুল লতিফ হাওলাদার সোমবার (১ জুলাই) রাতে বাদী হয়ে বখাটে শহিদুল ইসলাম দুলাল (২৮) ও তার সহযোগীকে আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও পুলিশ এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেননি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১ জুলাই) বিকেলে পৌর শহরের পশ্চিম কলেজ পাড়া এলাকায় প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার পথে উপজেলার আমড়াগাছিয়া গ্রামের সামসুল হকের ছেলে শহিদুল ইসলাম প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে ধারালো ব্লেড দিয়ে জখম করে। আহত কলেজ ছাত্রীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে সেখানেই সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে ওই ছাত্রীকে ব্লেড দিয়ে জখম করার পর বখাটে শহিদুল নিজের শরীর ব্লেড দিয়ে জখম করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জিয়াউল হক টিপু জানান, দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে বলে হাসপাতালে ভর্তি হয় শহিদুল। শহিদুলেরও জখম স্থানে ৭টি সেলাই দেয়া হয়। পরে ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নেয়ার আগেই সে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।
আহত কলেজ ছাত্রীর বাবা সৌদি প্রবাসী জাকির হোসেন মৃধা জানায়, আমার মেয়ে শহরের মহিউদ্দিন আহমেদ মহিলা ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। সে প্রতিদিনের ন্যায় প্রাইভেট পড়ে বাসায় যাওয়ার পথে তার ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে বখাটে শহিদুল ইসলাম দুলাল। বখাটে শহিদুল বেশ কিছুদিন ধরে আমার মেয়েকে কলেজে ও প্রাইভেটে আসা যাওয়ার পথে উত্যাক্ত ও প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। আমার মেয়ে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে বখাটে শহিদুল ক্ষিপ্ত হয়ে এ হামলা করে।
আহত কলেজ ছাত্রীর নানা ও মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ হাওলাদার জানায়, বখাটে শহিদুল ইসলাম দুলাল আমার নাতনীকে র্দীঘদিন যাবত উত্যাক্ত করায় আমি বাদি হয়ে গত ২মে ২০১৮ তারিখ মঠবাড়িয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করি।
মহিউদ্দি আহমেদ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আজিম উল-হক তার কলেজের ছাত্রীর উপর এ হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলাকারী বখাটেকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আবদুল্লাহ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামী দুলাল ও তার সহযোগীকে গ্রেফতারে পুলিশী তৎপরতা অব্যহত রয়েছে।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মো. হায়াতুল ইসলাম খান জানান, কলেজ ছাত্রীর ওপর বখাটের হামলার খবর পেয়ে ওই বখাটেকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে নিদের্শ দেই। তিনি আরও জানান, এ হামলার ঘটনা সরোজমিনে তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল পরির্দশন করি।
Comments
আরও পড়ুন





