নিজের বাল্য বিয়ের চেষ্টা রুখে দিল স্কুল ছাত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: স্কুল ছাত্রী আসমা আক্তার (১৪) এর অমতেই পরিবারের অভিভাবকরা বাল্য বিয়ে দিয়েছিল। প্রতিবেশী সৌদি প্রবাসী রাসেল ফরাজী (২৭) মোবাইল ফোনের সম্মতিতে এ অবৈধ বিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী তা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছিল না। দু’পরিবারের ইচ্ছায় এ বিয়ে হলেও বাধ সাধে স্কুল ছাত্রী। ঘটনার প্রায় একমাস পর টের পেয়ে স্কুল ছাত্রী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অবহিত করেন। প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি তাৎক্ষণিক থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ সম্প্রতি ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ছাত্রীর মা রাশেদা বেগম (৩২) ও দাদা নুরুল ইসলাম (৬৫) কে আটক করলেও ছাত্রীর পিতা আজিম মিয়া পুলিশের টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন মঞ্জুর উপস্থিতিতে ছাত্রীর মা ও দাদা ১৮ বছরের নিচে বিয়ে দিবে না মর্মে মুসলেকা দিয়ে থানা হতে ছাড়া পায়।
থানা ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর সোনাখালী গ্রামের দরিদ্র আজিম মিয়ার কন্যা স্থানীয় সোনাখালী মুন্সী আবদুল কাদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রীর সাথে প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম ফরাজীর পুত্র রাসেল ফরাজীর সাথে দু’পরিবারের সম্মতিতে হুজুর ডেকে মৌখিক ভাবে গোপনে বিয়ে পড়ায়। ছাত্রীর অমতে এ বিয়ে কয়েকদিন পর জানা জানি হলে ওই ছাত্রী তা মেনে নিতে পারে নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্কুল ছাত্রী বাল্য বিয়ে দেয়ার ঘটনাটি জানানোর পর আমি থানা পুলিশকে অবহিত করি।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি গোলাম ছরোয়ার জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পাঠাই এবং পরিবারের সদস্যদের থানায় এনে মুসলেকা নেয়া হয়।
Comments
আরও পড়ুন





