ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল স্কুলছাত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি ভৌমিক। বুধবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় তিনি ওই স্কুলছাত্রীর বাড়িতে পুলিশে পাঠিয়ে বাল্যবিয়ে ভেঙে দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার উপজেলার বেতমোর ইউনিয়নের পশ্চিম মিঠাখালী গ্রামের নারায়ন হাওলাদারের মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রীর সাথে পাশর্^বর্তী বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার সিমলাতলা গ্রামের কার্তিক এর ছেলের বিয়ের দিন নির্ধারন হয়। বর পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক।
পূর্বের কথা অনুযায়ী বুধবার কনের হাতে মেহেদী, গায়ে হলুদ দিয়ে সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে শুধু বর আসার অপেক্ষায় ছিলো পরিবারের লোকজন। এমন সময় এলাকাবাসী ও স্থানীয় সংবাদকর্মীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঊর্মী ভৌমিক এর কাছে মুঠোফোনে বাল্যবিয়ের অভিযোগ দেয়। পরে তিনি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে নির্দেশ দিলে সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আজাদ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন আকন ওই বাল্যবিয়ের আসরে উপস্থিত হন। এতে মুহূর্তের মধ্যে পাল্টে যায় বিয়ে বাড়ির পরিবেশ এবং বন্ধ করে দেয়া হয় বাল্যবিয়ে।
মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মী ভৌমিক জানান, গোপনীয়তা রক্ষা করে ওই শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ের চেষ্টা চলছিলো। খবর পেয়ে বিয়ে বন্ধ করে ওই ছাত্রীর অভিভাবকের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়।
Comments
আরও পড়ুন





